উদ্ধারকৃত সেনাদের পরিচয় দেয়নি বিজিবি
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার অভিযানে বাংলাদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে আটক মায়ানমারের দুই সেনার পরিচয় প্রকাশ করেনি বিজিবি।
উদ্ধারকৃত ২ সেনা অনুপ্রবেশকারী কিনা, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল এবং তাদের পদ মর্যাদা কোন পর্যায়ের এই বিষয়গুলো বিজিবির উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) কর্নেল খন্দকার ফরিদ হাসানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
বুধবার বিকেলে বিজিবির পিলখানা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিজিবি। সেখানেই সাংবাদিকরা তাকে এই প্রশ্নগুলো করেছিলেন। তিনি এসব প্রশ্নের উত্তরে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার মাটি কখনোই কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করতে দেয় না।
তিনি বলেন, ‘বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য ও অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্যে বিভিন্ন সময় জানা যায়, বাংলাদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী ও অনুপ্রবেশকারী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবস্থান নেয়। সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যেই বিজিবি, সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে সেখানে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।’
গত ৫ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত এমনই একটি অভিযানের শেষ দিন দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে এসেছে বলে দুই সেনা সদস্য জানিয়েছেন। যৌথ অপারেশনের বিষয়টি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে।’
দুই সেনাসদস্য সুস্থ্য আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এমনকি চিঠি দিয়ে তাদের জানিয়েছি, দ্রুত যেন তাদের ফিরিয়ে নেয়া হয়।’
মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্যকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই