ভোগান্তির মধ্যে শুরু নৌপথে বাড়ি ফেরা

পদে পদে কষ্ট সহ্য করেই মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে উপভোগ করতে সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার মধ্যে শুরু হয়েছে তাদের নৌপথে বাড়ি ফেরা।

মূলত রাজধানী থেকে বের হতেই নানা বিপত্তির শিকার তারা। তীব্র যানজটের কারণে সময় মতো পৌঁছাতে পারছেন না নির্দিষ্ট গন্তব্যে। অনেকে সকাল থেকেই লঞ্চ টার্মিনালে এসেছেন। তার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে না লঞ্চের কোনো টিকিট।

অনেকে আবার ইফতারের কিছু সময় আগে লঞ্চে এসে পৌঁছেছেন। লঞ্চে বসেই ইফতার করার জন্য বাসা থেকে তৈরি করে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী।

বরিশালের যাত্রী ফরহাদ ও তার পরিবার দেশের বাড়িতে ঈদ করার জন্য বাড়ি যাচ্ছেন। ইফতার ও রাতে সেহেরি করার জন্য বাসা থেকে রান্না করে নিয়ে এসেছেন খাবার। তিনি বলেন, ‘ইফতারের পরেও প্রচুর জ্যাম হওয়ায় আগে আগে লঞ্চে এসে বসে রয়েছি। জ্যামের কারণে যদি সময় মতো লঞ্চে পৌঁছাতে না পারি। এখন লঞ্চে এসে পৌঁছাতে পেরে নিশ্চিন্ত হলাম।’

এ ছাড়া সদরঘাটের আরো একটি বিড়ম্বনার নাম হচ্ছে কুলি। কোনো যাত্রী সদরঘাটের সামনে পৌঁছানর আগেই শুরু হয় কুলিদের উৎপাত। কোনো কুলি পেছন থেকে কেউ আবার সামনে থেকে যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে দেন। যাত্রীরা না চাইলেও তারা ব্যাগ নিবেনই এবং তাদের পছন্দ মতো টাকা দিতে হবে তাদের। আবার কোনো যাত্রীর সঙ্গে বড় কোনো ব্যাগ থাকলেই তার কাছে থেকে আদায় করছেন অতিরিক্ত টাকা। যাত্রীরা জানতে চাইলে তাদের বলা হয়, এটা ঘাটের ভাড়া। না দিলে ব্যাগ নিতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে অনেক যাত্রীদের সঙ্গে তাদের তর্কও করতে দেখা গেছে।

আর আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই যে সদরঘাটের কুলিদের বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ আলাদা ড্রেস দিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরনে নেই তেমন কোনো ড্রেস।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন মিলে আমরা অনেকবার এদেরকে তাড়ানোর এবং শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। এ ছাড়া তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের মদদে এ সকল কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’



মন্তব্য চালু নেই