আগ্নেয়াস্ত্র নয় দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ডাকাতরা
রাজধানীর তুরাগ থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে ডাকাতি করে।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই নয় ডাকাতকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগের একটি দল। গ্রেফতারকৃতদের দলনেতা ইব্রাহীম। অন্যরা হলো আল আমিন, ছিদ্দিক, আলমগীর বক্স, রিয়াজ উদ্দিন, খিজির আহাম্মেদ, সহিদুল, আবদুর রব ও আবদুল হালিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে সোয়া দুই ভরি সোনা, ছুরি, চাপাতি, দা ও রডের তরবারি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা পেশাদার আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। অত্র এলাকায় তারা ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিল। এর পূর্বেও তারা ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করেছে। দলনেতা ইব্রাহীম ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ শতাধিক এলাকায় ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, ডাকাতেরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না, তবে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি করে। ডাকাতির পর স্বর্ণালংকার তুরাগ থানা এলাকার আবদুর রব ও আবদুল হালিম স্বর্ণকারের কাছে বিক্রি করে। ডাকাতদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অপর দুই ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ডাকাতরা মূলত নরসিংদীর গাউছিয়া, মাধবদী ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকার বাসিন্দা। অত্র এলাকা থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে ডাকাতি করে নিজ নিজ এলাকায় চলে যেত। এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে আরো সদস্যরা জড়িত। তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই