অনুসন্ধানী প্রতিবেদন -১
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আপন ভাইপোর হাতে খুন হতে হলো আলমগীর কে
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিসংস্ব ভাবে খুন হতে হলো আলমগীরকে। আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের মৃত ময়নুদ্দীন মোড়লের ছোট ছেলে। গ্রামে তিনি ছোট খোকা নামে পরিচিত ছিলেন।
গত ২০ জুন রাত ৯ টার সময় একটি মোবাইল থেকে আলমগীরের ০১৭৭৮-২৪৬২১৫ নং মোবইল এ একটি কল আসে। কলটি রিসিভ করে আলমগীরের ছেলে রুহুল কুদ্দস। ফোনের অপর প্রান্তে অচেনা কন্ঠ জানতে চাই তোমার আব্বা কোথায়। রুহুল কুদ্দুস জানায় তিনি মসজিদে তারাবীর নামাজ আদায় করছেন। এর পরপরই কবিরুল ইসলাম আলমগীরকে মসজিদ থেকে ডেকে বাড়িতে আনে। এবং বলে চাচা তোমার মোবাইল এবং গামছা টা নাও। কবিরুল আলমগীরের আপন বড় ভাই মৃত জাহাঙ্গীর আলম মোড়লের বড় ছেলে। এ তথ্য আলমগীরের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদের কয়েকজন মুসুল্লী জানান,আলমগীর প্রতি দিন ২০ রাকায়াত তারাবীর নামাজ পড়েন। ঐ দিন ৮ রাকায়াত পড়ার পর কে যেন পিছন থেকে ডাক দেয়। ডাক শুনে তিনি চলে আসেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় যাওয়ার পর তাদের সাথে আরো ৩/৪ জনকে যেতে দেখেছেন অনেকেই।
রাতের খাবার না খেয়েই চলে যান আলমগীর। রাত গভীর হয়ে যাচ্ছে বাড়ি ফিরে না আসছে না। মোবাইল ও বন্ধ। চারিদিকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে এক সময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বাড়ির সবাই। ২১ জুন রবিবার সকাল ১০ টার দিকে কুশখালী বিজিপি ক্যাম্প ও হাই স্কুলের মাঝামাঝি স্থানে একটি পাট ক্ষেতের মধ্যে আলমগীরের জবাই করা লাশ পাওয়া যায়। পাড়ার ছেলেরা ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। সুমন নামের একটি ছেলের ঘুড়ি কেটে গিয়ে পড়ে ঐ পাট ক্ষেতে। ঘুড়ি খুজতে গিয়ে দেখতে পায় একটি লাশ পড়ে আছে। তার চেচামেচিতে চলে আসে অন্য ছেলেরা ও গ্রামের লোকেরা। আলমগীরের ছেলে কবিরুল এসে লাশটি তার পিতার বলে সনাক্ত করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। ময়না তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২১ জুন বিকালে তার বাড়ির পার্শ্বে কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়।
হত্যা কান্ডের ব্যাপারে আলমগীরের পুত্র কবিরুল বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ৪৬,তাং ২২.০৬.১৫ ধারা ৩০২/৩৪। জি,আর -২৬৩.
মন্তব্য চালু নেই