সাকা চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় ২৯ জুলাই
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আপিলের চূড়ান্ত রায় ২৯ জুলাই ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে আজ সাকা চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগের পঞ্চম রায় হবে এটি।
এর আগে আপিল বিভাগের রায়ের পর জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আপিলের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং আপিলের রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
এর আগে গত ১ জুলাই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর দুই দিন পরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ জুন সাকা চৌধুরীর আপিল মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমে শুনানি শুরু করে ট্রাইব্যুনালের রায়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং রায়সংক্রান্ত নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন করেছে আসামিপক্ষ।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির প্রাক্তন সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একই বছরের ২৯ অক্টোবর খালাস চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি। তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টির পক্ষে সাক্ষী হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। এগুলোর মধ্যে মোট ৯টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। বাকি আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ যে ছয়টি অভিযোগের পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করেনি, সেগুলো থেকেও সাকা চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই