‘মিয়ানমারের সাথে নতুন হিসাব নিকাশ জরুরি’

সম্প্রতি মানবপাচার ও রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে সারাবিশ্বে একটি আলোচিত দেশের নাম হয়ে ওঠে মিয়ানমার। তবে মাদক চোরাচালান, অস্ত্র পাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতেও কম আলোচিত নয় প্রতিবেশি এই দেশটি। এসব কারণে বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। আর ক’দিন আগে নায়েক রাজ্জাকের অপহরণ তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে পাল্টা সংঘর্ষ নয়, সমঝোতার মধ্য দিয়েই মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকার ব্যাপারে আশাবাদী বিশ্রেষকরা।

মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ২৬১ কি.মি’র যে সামান্য সীমান্তভূমি তা হয়ে উঠেছে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের রুট। বিশেষ করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটছে। আর নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ ও তার সাথে যে আচরণ গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তা দু’দেশের বৈরীতাপূর্ণ সম্পর্কেরই ইঙ্গিত দেয়।

গত বছর মে মাসেও এক সংঘাতে বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমান নিহত হয়েছিলেন। তার লাশ ফেরত দেওয়া নিয়েও নানা ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। তারও আগে তারা সীমান্ত পিলার নিয়ে সামান্য ঘটনাতেই বিপুল সৈন্য সমাবেশ করে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল। ২০০৮ সালে যখন সমুদ্রসীমা নিয়ে আলোচনা চলছিল, তখন কোনো কারণ ছাড়াই মিয়ানমার বিরোধপূর্ণ জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল।

কূটনীতি বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন মনে করেন, এখন সময় এসেছে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিশ্লেষণের। জরুরি হয়ে পড়েছে, মিয়ানমার নিয়ে নতুন হিসাব-নিকাশের।

আর নিরাপত্তা বিশ্লেষক বি.জে.আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের তেমন কোন বৈরিতা নেই, যা নিয়ে সংঘর্ষ হতে পারে। মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান নিয়ে এসব উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।’

তারা মনে করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারনে হোক কিংবা কানেকটিভিটির উদ্দেশ্যে হোক মিয়ানমারের সাথে বৈরীতায় না গিয়ে সমঝোতাপূর্ণ সম্পর্কের দিকে এগুনোই লাভজনক। তাহলেই সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক রক্ষা হবে।



মন্তব্য চালু নেই