প্রতিকূলতা ঠেলেই এগিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক বাধা আসবে। সেই প্রতিকূলতা ঠেলেই এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য। তাই এর বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার মিলে আমরা যৌথভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু নিজেদের কথা নয়। প্রতিবেশীদের কথাও ভাবতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনে এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ- সকল পর্যায়েই উজানে নৌকা বেয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শূন্য থেকে আমাদের শুরু করতে হয়েছে। কারণ, বিএনপির আগের দুই সরকারই দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশকে বিপর্যস্ত করে রেখে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আমরা ক্ষমতায় এসে যখন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করি, তখন সাম্প্রতিক সময়ের মতো আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে তারা তা বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। এত প্রতিকূল অবস্থায়ও আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’
লন্ডনের পার্ক লেন শেরাটনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পাঁচজন ব্রিটিশ এমপিও বক্তব্য রাখেন।
ভারতের সঙ্গে স্থলসীমা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য শেখ হাসিনাকে এই নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টিউলিপ সিদ্দিকসহ উপস্থিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের অভিনন্দন জানানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই