সাংসদপুত্রকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন
রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকায় গুলি করে দুজনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনিকে ‘ছাড় দেওয়ার’ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এটি একটি ক্লুলেস ঘ্টনা ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। ক্লুলেস ঘটনা তদন্তে ডিবি পুলিশ সাধারণত যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, এখানেও তা-ই করা হয়েছে। সুতরাং সাংসদের ছেলে বলে ছাড় দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা ভিত্তিহীন।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, সব হত্যাকারীকে যেভাবে দেখা হয়, তাকেও (বখতিয়ার) সেভাবেই দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কারো সামাজিক পরিচয় দেখার সুযোগ নেই। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা-ই নেওয়া হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লাইসেন্স করা পিস্তলটি পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ থেকে বোঝা যাবে, নিহতদের বিদ্ধ হওয়া গুলি এই পিস্তলেরই কি না।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার বখতিয়ারকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস আদালতে রিমান্ড আবেদন না করে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বখতিয়ারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে, বখতিয়ারের পক্ষে জামিন চেয়ে ও চিকিৎসার জন্য দুটি পৃথক আবেদন করেন আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং জামিন আবেদনের বিষয়ে আগামী ১৬ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে সাংসদপুত্র বখতিয়ার গাড়ি থেকে গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম গত ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ২৪ মে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে। বখতিয়ার আলম রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ পিনু খানের ছেলে।
মন্তব্য চালু নেই