আম বাজারে ধস, লোকশানে ব্যবসায়ী ও কৃষক
রাজশাহীর আম সারা দেশে বিখ্যাত। তাই রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জকে আমের রাজধানী বলা হয়। আর এই এলাকা আম ব্যবসায়ীদের আগমনে প্রাণচঞ্চল্য ও জমে উঠতে শুরু করেছে আমের বাজার। তবে আমের তুলনামুলকভারে দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির অসংকা করেছে।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের কারণে আম দ্রুত পাকায় এবার আম তারা তারি শেষ হয়ে যাবে বলছে ব্যবসায়ীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার রাজশাহী জেলায় ১৬ হাজার ৫১৯ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ২শ হেক্টর জমিতে বেশি আমের চাষ হয়েছে। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আসা করা যাচ্ছে।
আম ব্যবসায়ী আবদুর সালাম ও শাহাদাৎ জানান, এ বছর আমের বাগানে মোটা অংকের টাকা লোকশান হবে। কিন্তু এ চলতি বছরের ৫ জুন পর্যন্ত রাজশাহীতে গাছ থেকে আম পাড়া ও বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। এতে আমরা আটি আম গুলো বাজারে আনতে পারিনি। এর ফলে আমাদের বেশির ভাগে আমে পেকে গেছে। আর বাজরে চলে এসেছে জাতের আম সে কারণে এর চাহিদা কমে যায়।
তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আমে ফরমালিন আতঙ্ক রয়েছে। এতেই বেশ ক্ষতি হয়েছে চাষিদের। নিষেধাজ্ঞার জন্য নয়। অনেক সময় দেখা যায় অধিক লাভের আসায় ব্যবসায়ীরা কাচা আম ফরমালিন দিয়ে পাকিয়ে বাজারে নিয়ে আসে। কিন্তু আমে এবার ব্যবসায়ীদের লোকশান হবে।
বানেশ্ব আম বাজারের আড়ৎদার সুমন বলেন, আগের বছরের থেকে এ বছর আমের দাম আনেক কম। কোন বছর এতো আমের দাম কমেনি। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ভাবে লোকশানের মুখে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ১৩ শ থেকে ১৪ শ টাকা মণ, গোপাল ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ২৬ শ থেকে ২৭ শ টাকা মণ, খেরশাপাত আম বিক্রি হচ্ছে ১৩ শ থেকে ১৪ শ টাকা মণ, লখনা আম বিক্রি হচ্ছে ৮ শ থেকে ৯ শ টাকা মণ, আটি ফজলী আম বিক্রি হচ্ছে ৬ শ থেকে ৭ শ টাকা মণ, রাণী আম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১১ শ টাকা মণ দরে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছে, মানুষের মধ্যে ফরমালিন আতঙ্ক রয়েগেছে। তাই সাধারণ মানুষ আম তেমন কিনেনি। তার পরেও এবছর আমের ভালো ফলন হয়েছে তার কারণে আমের দাম কমতে পারে। গত বছর কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের প্রভাবে যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিলো সে কারণেও এ বছর আমের দাম কমে গেছে বলে মনে করছেন অনেক কৃষক।
মন্তব্য চালু নেই