দেশের কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা

দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আগামী আরো কয়েক দিন তা অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টার তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদী সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া বগুড়া, সিলেট ও গাইবান্ধা জেলার কিছু অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এটা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ আবহওায়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের উত্তর, মধ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরো বাড়তে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ঘাঘট নদী গাইবান্ধা পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার রয়েছে। যা বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপরে।যমুনা নদী সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার রয়েছে। যা বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপরে।সুরমা নদী সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।সারিগোয়াইন নদী সারিঘাট পয়েন্টে ১২১ সেন্টিমিটার রয়েছে। যা বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ৮৪টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৪টি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৪৯টি স্টেশনে বেড়েছে। কমেছে ২৪টি পয়েন্টে এবং ৪টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের বন্যাপ্রবণ এলাকায় শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্যা সতর্কতা জারি থাকবে।

আকস্মিক বন্যা হওয়ার আশঙ্কা পূর্বাভাসকালীন পর্যবেক্ষণকৃত মোট বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করছে। এই পূর্বাভাস আগামী দুই দিনের মধ্যে হালনাগাদ হতে পারে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের কিছু কিছু জায়গায় আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই