বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে সমঝোতা চুক্তিতে আগ্রহী চীন
বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে সার্বিক সহযেগিতা দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করতে আগ্রহী চীন। এজন্য গত বুধবার বাংলাদেশের কাছে সমঝোতা চুক্তির একটি খসড়াও পাঠিয়েছে দেশটি।
উল্লেখ্য, এর আগে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে সহযোগিতা চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে সেভাবে সাড়া না পাওয়ায় ভারতের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি করে বাংলাদেশ। গত ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকালে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি হয়। মোদির ঢাকা সফরের চার দিনের মাথায় চীন সরকারও ভারতের মতো সমঝোতা চুক্তির একটি খসড়া বাংলাদেশকে দেয়। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে সার্বিক সহযোগিতা বিষয়ে চীনের পাঠানো খসড়াটিও খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে ভারতের সঙ্গে স্বল্প পরিসরে সহযোগিতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। কারণ, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা ভাগাভাগি হওয়ার পর বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে জোরালো উদ্যোগ নেয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের কাছে সহযোগিতাও চাওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তি বা এ ব্যাপারে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রথমে চীন ও পরে ভারতের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশের এই প্রস্তাবে সাড়া দিতে চীন দেরি করলেও ভারত দেরি করেনি। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ঢাকা সফরকালে এ বিষয়ে সমঝোত চুক্তি হয়। সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করার ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা অবলম্বন করা হয়। কারণ, যেহেতু এ বিষয়ে বাংলাদেশের তেমন কোনো অজ্ঞিতা নেই, তাই শুধুমাত্র উপকুলীয় নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে সমঝোতা চুক্তি করা হয়। কিন্তু গভীর সমুদ্র এলাকার সম্পদ আহরণে কোনো দেশের সঙ্গে এ পর্যন্ত সহযোগিতা চুক্তি করা হয়নি।
এদিকে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে সার্বিক সহযেগিতা দিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির যে খসড়া পাঠিয়েছে চীন, তাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। গভীর সমুদ্র এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে চীনের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা চুক্তি করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখা গেলে আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের সঙ্গেও একটি সহযোগিতা চুক্তি করতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, ওই সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের ঢাকা সফরে আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আসতে পারেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য চালু নেই