ট্রলারডুবিতে নারী-শিশুসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার
মেঘনা পাড়ে আহাজারি
মনপুরার মেঘনায় দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ২০ জন। তাদের সন্ধানে সমন্বিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে দেখা গেছে মেঘনা পাড়ে চলছে আহাজারি। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নিখোঁজদের স্বজনরা সেখানে জড়ো হয়েছে। প্রিয় মানুষের সন্ধান পেতে তারা বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষা করছে। তবে তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ।
অপরদিকে, স্থানীয়ভাবে দেড় শতাধিক নিখোঁজের কথা বলা হলেও উদ্ধার হয়েছে অনেকেই। বিকেলে পাওয়া তথ্যমতে, ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এর মধ্যেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছে ট্রলারটিও।
এর আগে বেলা ১১ টায় ভোলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী চর থেকে মনপুরা আসার সময় মেঘনায় ঝড় ও ঢেউয়ের তোড়ে নঈম মাঝির ট্রলার ডুবে যায়। এতে প্রাথমিকভাবে শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় নিখোঁজ থাকে অর্ধশতাধিক লোকজন। তবে বিকেল চারটার দিকে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন খান নিশ্চিত করে জানান, ট্রলার ডুবিতে নিহতের সংখ্যা আটজন। আর নিখোঁজের সংখ্যা ২০ জন।
তবে বিকেল চারটা অবধি নিহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন- জেসমিন (২২), রুপা (৩), তানজিনা আক্তার (দেড় বছর), তাহমিনা (৩), রনি (২), আয়শা(৬৫)। এদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রেজওয়ান, জেসমিন, খোদেজা, আমেনা, ইমরান, আম্বিয়া, নুরনাহার, বারেক, সালেকা, কহিনুর, রোকেয়াকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলা ১১ টায় দিকে স্থানীয়রা দাবি করে, কলাতলীর চরের আবাসন বাজার ঘাট থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা নঈম মাঝির ট্রলার দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক নিখোঁজ হয়।
মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আমানত উল্লা আলমগীর জানান, ট্রলার দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ শিকদার ট্রলার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনও চলছে অভিযান।
মনপুরা হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ডা. সমীরন কুমার বসত বাংলামেইলকে জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ হাসপাতালে আছে। এ পর্যন্ত আহত ১২ জনকে চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
নারী-শিশুসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার
মনপুরায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, যাত্রীবাহী একটি ট্রলার কলাতলী থেকে মনপুরায় আসছিল। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে যাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রীর মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠে। এ সময় পাঁচ শিশু ও তিন নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত আট জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও নিখোঁজ থাকতে পারে। উদ্ধারে অভিযান চলছে।
মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৬ লাশ উদ্ধার
ভোলার মনপুরায় মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় চার শিশুসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মনপুরার কলাতলি থেকে হাজিরহাট যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। নিহতরা হলো চার শিশু রুপা, রনি, তানজু, তাহমিনা ও দুই নারী আয়েশা (৬৫) ও জেসমিন (২২)।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঝড়ো বাতাস আর প্রবল ঢেউয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় চার শিশু ও দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অন্য ১০ যাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই