বিচার বিভাগ নিজেরা নিজেদের বন্দী করে রেখেছে

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘অর্থনীতি ও প্রশাসনে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। আইন বন্দী হয়ে পড়েছে টাকার কাছে। এ বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করতে না পারলে কিছুই প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। বিচার বিভাগ নিজেরা নিজেদের বন্দী করে রেখেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এম ভি নাসরিন লঞ্চ দুটনার ১১তম বছর স্মরণে ‘দুর্ঘটনামুক্ত নৌপথ আইনের কঠোর প্রয়োগ : আমাদের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে দরিদ্র মানেই অদৃশ্য, যে দরিদ্র মানুষ এ দেশ স্বাধীন করেছে সেই দরিদ্র মানুষের মৃত্যুতে রাষ্ট্র ও রাজনীতিবিদদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা দরিদ্র মানুষের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারেন না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে তেলের মাথায় তেল দেয়ার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কেউ চিন্তা করে না।’

ড. মিজান বলেন, ‘আমাদের নৌপথ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। তার কারণ আমরা সবকিছু খেয়ে ফেলছি, আমরা আরও এবং আরও চাই। এভাবে চলতে থাকলে আমরা বঙ্গপোসাগর খেয়ে ফেলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের, অবহেলার কারণে কারো মৃত্যু হলে তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এ ক্ষত্রে বাধা হচ্ছে আইনের শক্তির অনুপস্থিতি। এ জন্য আমাদের জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে সকলে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে। আইনের সঠিক প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে।’

ড. মিজান বলেন, ‘আমরা মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ-মন্ত্রণালয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত দাবি জানাব।’

নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক আশিষ কুমার দের সভাপতিত্বে সেমিসারে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের আমিনুর রসুল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই