গরমেও টিকে থাকবে চোখের সাজ
প্রকৃতির উষ্ণ আদর আমাদেরকে করে তোলে চঞ্চল। সে উষ্ণতা মাত্রা অতিক্রম করতে চাইলে কপালে পড়ে ভাঁজ। আর যদি করেই ফেলে তখন শুরু হয় অস্থিরতা। সাজগোজের ব্যাপারে চলে আসে উদাসীনতা। নারীর সাজে সব বাদ দিলেও চোখের কাজলটা তো আর বাদ দেয়া চলে না। কিন্তু গরমে কাজল লেপটে চোখের চারপাশ কালি হয়ে যাওয়ার ভয়। তাই গরমেও সামান্য কিছু কৌশলে আভিজাত্যময় আকর্ষণীয় করে তুলুন আপনার চোখ।
হাইলাইট
সুন্দর সাজে চোখের আকৃতি বড় দেখানোর সহজ উপায় হচ্ছে হাইলাইটার পেন্সিল ব্যবহার করা। চোখের নিচে, ভ্রুর উঁচু স্থানের হাড়ের উপর এবং চোখের ভেতরের কোণ থেকে চোখের পাতার অর্ধেকটা অংশ জুড়ে ভালো করে হাইলাইটার দিতে হবে। হাইলাইটার লাগিয়ে একটি ব্রাশের মাধ্যমে ভালো করে চামড়ার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এতে চোখের আকৃতিতে পরিবর্তন আসবে।
যত্নের সঙ্গে আইলাইনার দিন
চোখের আকৃতি ছোট হলে পুরো চোখে আইলাইনার ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ করে ভেতরের কোণ খালি রাখতে হবে। চোখের বাহিরের কোণ আইলাইনারে টেনে লম্বা আকৃতি দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে উপরের পাতায় মোটা করে লাইনার টানুন। নিচের পাতায় ভেতরের দিকে মাঝ বরাবর এসে আইলাইনারের দাগ থেমে যাবে এতে চোখ অনেকটা বড় দেখায়।
হোয়াইট বেস আইশেড
চোখের নিচের পাতার ভেতরের কোণে হালকা করে সাদা কাজল দিতে পারেন। এভাবে আইশেড দিলে চোখ অনেকটা খোলা ও বড় দেখায়। এছাড়াও চোখের ভেতরের কোণে সাদা এবং হালকা রঙের আইশেড দিলে চোখের আঁকার বড় হয়।
পাপড়ি কার্ল করা
পাপড়ি কার্ল করে নিলে চোখের আকার বেশ অনেকটাই বড় দেখায়। সেজন্য আইল্যাশ কার্লার গরম করে চোখের পাপড়ি কার্ল করে নিতে পারেন। কার্ল করার পর চোখে ভালো করে মাশকারা ব্যবহার করুন।
কাজল
চোখের আকৃতি বড় এবং সুন্দর দেখাতে কাজল ব্যবহার করতে পারেন। চোখের ভেতরের কোণে চিকন করে বাইরের কোণে মোটা দাগে একটু টানা দাগ দিতে হবে। চোখের কোণে উপর নিচের কাজলের সংযোগ ঘটাতে একটু মোটা করে আঁখি টানতে পারেন। কাজলের গাঢ় কালোভাব আপনার চোখকে আকর্ষণীয় করবে। এবার কাজলের ওপর পছন্দের আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। কালোকে ধরে রাখতে কালো রঙের আইশ্যাডো, কালোতে কিছুটা নীলচে ভাব আনতে নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। এতে কাজল সঠিক আকৃতিতে টিকে থাকবে দীর্ঘক্ষণ। অনেক ঘামেও কাজল নষ্ট হবে না। তাই চোখ সাজাতে পারেন নিজের ইচ্ছামতো।
মন্তব্য চালু নেই