প্রাথমিক শিক্ষায় এডিবির অতিরিক্ত সহায়তার চুক্তি

প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অতিরিক্ত অর্থ সহায়তার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

সংস্থাটি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ (পিইডিপি-৩) বাস্তবায়নে ১২০ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ডলার অতিরিক্ত সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ হয় ৯৩৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা)।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং এডিবির আবাসিক প্রধান কাজুহিকো হিগুচি। এ সময় পরিকল্পনা কমিশন ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৪ জুন সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ এই অতিরিক্ত সহায়তার অনুমোদন দিয়েছিল। এডিবির এই অর্থ পরিশোধের সময়সীমা ২৫ বছর।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়াতে ২০১১ এ কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। দাতাগোষ্ঠীর সহায়তা নির্ভর মেগা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ২২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।

পিউডিপি-৩ কর্মসূচির অধীনে দেশব্যাপী ৩ হাজার ৬৮৫টি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, ২ হাজার ৭০৯টি বিদ্যালয় পুনর্নির্মাণ, একজন শিক্ষকের অনুকূলে ৪০ জন ছাত্রের সমন্বয় তথা অনুপাত ১:৪০তে নামিয়ে আনা, ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫৫টি টয়লেট স্থাপন, ৪৯ হাজার ৩০০টি নলকূপ, ৫৩ হাজার ৭৫০টি প্রস্রাবখানা নির্মাণ, ১১ হাজার ৬০০টি শ্রেণিকক্ষ মেরামত ও জেলা উপজেলায় রিসোর্স সেন্টার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত কর্মসূচির জন্য অতিরিক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে ১ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে স্কুলমুখী করা এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করা নিশ্চিত করার লক্ষ্য রয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা ছাড়াও এ কর্মসূচির অধীনে বিশেষ করে অনগ্রসর এলাকাসমূহে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অব্যাহত রাখা হবে এবং স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামো মান উন্নত করা হবে।

এর বাইরে এ প্রকল্পের আওতায় মেধাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ ও শূন্যপদ পূরণের নিশ্চয়তা বিধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। উপরন্তু, শিক্ষাবছরের প্রথম মাসেই ৯০ শতাংশ স্কুলে পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিত করারও লক্ষ্যমাত্রা রযেছে সরকারের। কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালের জুন নাগাদ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।



মন্তব্য চালু নেই