আমি পারলে তারা থাকতে পারবে না কেন ?

যাদের কারণে রাজধানীর পান্থপথে সড়ক ধসে আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেই ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকদের কাজে না পেয়ে বেজায় চটেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন।

শুক্রবার সকালে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে মেয়র আনিসুল হক ব্যাংকের কাউকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ওপর।

তিনি বলেন, ‘রানা প্লাজায় জড়িতদের আমরা ধরেছি। মালিককে ধরেছি। আমি মেয়র হয়ে যদি রাত দিন সারাক্ষণ থাকতে পারি, তারা (ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) থাকতে পারবে না কেন?

বুধবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক লাগোয়া হোটেল সুন্দরবন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের নির্মাণাধীন টুইন টাওয়ারের মাঝের ১৫ ফুট প্রশস্ত সড়কটি ধসে পাশের পাইলিংয়ের গর্তে চলে যায়।

মাটি আলগা হয়ে বেইজমেন্টের একটি অংশের দেওয়াল গর্তে চলে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ছয়তলা সুন্দরবন হোটেল। ওই গলির সামনের অংশে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কেও ফাটল তৈরি হয়। পরে আশপাশের রাস্তাবন্ধ করে দেয়া হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী গাজী ফিরোজ রহমান আমরা বালু দিয়ে ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এ ছাড়া আমাদের আর বিকল্প নেই। তবে বৃষ্টি হলে ধসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

মেয়র আনিসুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম ১৫০০ ট্রাক বালু দিয়ে ভরাট করা যাবে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দ্বিগুণ লাগবে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের এই ভবনটি নির্মাণ করছে এম এস কনস্ট্রাকশনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মো. সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশনের সহায়তায় বেশির ভাগ বালু আমরাই ফেলেছি।

এ সময় প্রশ্ন করেন, ন্যাশনাল ব্যাংক নাই কেন?



মন্তব্য চালু নেই