রমজানে পকেট ও প্যাকেটের সমন্বয় সাধনের দাবি ক্রেতাদের

বেগুনে আগুন, সাথে পোঁকা ফ্রি

বেগুনে আগুন, সাথে পোঁকা ফ্রি। শুনতে কেমন লাগলেও বাস্তবে ঠিক যেন তেমনি হয়েছে। কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে বেগুনের দাম হয়েছে আকাশ ছোয়া। আর তাই অনেকে ঠাট্টা করে এমনটাই বলছেন। শুধু ঊর্দ্ধমুল্যের আগুনেই নয়, বেগুনের সাথে ফ্রি থাকছে পোঁকা। দাম বেশি দিয়েও পোঁকা বিহীন বেগুন পাওয়াও যেন রীতিমত কঠিন হয়ে পড়েছে। রমজানের দিনশেষে ইফতারের অন্যতম আইটেম ‘বেগুনি’ এখন প্রায় ‘বেগুন ছাড়া’ মিলতে বাধ্য হচ্ছে। বিভিন্ন হাটবাজার গুলোর স্থান ভেদে বেগুনের বর্তমান মূল্য ৮০ থেকে ৯০টাকা। পোঁকা তো আছেই। আর পোঁকা বিহীন একটু ভালো বেগুনের দাম আরো বেশি। দাম বেড়েছে মাছ, মাংস এবং ডিমের। বিভিন্ন কাচা বাজারে স্থান ভেদে রমজানে দাম হয়েছে কেজি প্রতি শশা বা ক্ষিরা ৪০ থেকে ৫০টাকা, আলু ২২টাকা, পিয়াঁজ ৪০টাকা, রসুন ৬০টাকা, কাচা ঝাল ৫০টাকা, ঢেরস ২৮টাকা, বরবটি ২৮টাকা, পটল ২৮টাকা, কুমড়া ২০টাকা, ঝিঙগা ২৮টাকা, কচুরমুখি ৩৫টাকা, উচ্ছে ৬০টাকা, কলা ২৮টাকা, পেপে ২০টাকা, কচুর লতি ৩৫টাকা, ওল ৬০টাকা। এছাড়া মুগের ডাল ১২০টাকা, চিনি ৪৮টাকা, মিছড়ি ৬০থেকে ৭০টাকা। অতিসম্প্রতি যে ডিমের দাম পিচ প্রতি ছিল ৬টাকা সেই ডিম এখন ৯থেকে ১০টাকা। লেবু পিচ প্রতি ২থেকে ৫টাকা। আখের পাটালি ও গুর ৬০ থেকে ৮০টাকা। আর ধনের পাতা যেন ডুমুরের ফুল হয়েছে। সাধারণের নাগালের বাইরে ধনের পাতার দাম ৩/৪’শ টাকায় পরিণত হয়েছে। জেলার কলারোয়া কাচা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন সহ অনেক ব্যবসায়ী এমনটাই জানালেন। সবমিলিয়ে শুধু বেগুন-ই নয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্দ্ধগতির আগুনে জ্বলছেন সাধারণ ক্রেতারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার করতে গিয়ে প্যাকেট না ভরলেও পকেট ঠিকই খালি হচ্ছে। আর তাই সাধারণ মানুষের দাবি- পকেট ও প্যাকেটের সমন্বয় সাধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সুনজর দেন।



মন্তব্য চালু নেই