এক পুলিশ সার্জেন্টের কাণ্ড

রাস্তায় গাড়ী চালককে মারধর করে জনরোষে পড়েন এক পুলিশ সার্জেন্ট। এসময় ওই সার্জেন্টের হাতে পিজির এক ডাক্তারসহ অনেকেই নাজেহাল হন। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সার্জেন্ট ওই গাড়ী চালককে পল্টন থানার মামলায় ঢোকানোর হুমকি দেন।

রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রো চ ১৫-২৯০২ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস কাটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ সেটি আটকে দেয়। এসময় গাড়ি চালক মামুন তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলেন। মামুন জানান, তার মা পিজি হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখার জন্য তিনি যাচ্ছিলেন। পুলিশ তার গাড়ি আটকে কাগজপত্র দেখার নামে কালক্ষেপণ করে। এসময় মামুন প্রতিবাদ করলে সার্জেন্ট মামুনকে গাড়ি থেকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মামুনের দাড়ি-টুপি থাকায় তাকে জঙ্গি বানিয়ে পল্টন থানার ৬ নম্বর মামলায় ঢোকানোর হুমকি দেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ সার্জেন্ট আরো ক্ষেপে যান। এসময় তিনি এলোপাতাড়ি মানুষকে মারধর শুরু করেন এবং সবাইকে গুলি করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি ওয়্যারলেস সেট দিয়ে মামুনের মাথা ফাটিয়ে দেন। এদৃশ্য দেখে উপস্থিত লোকজন ক্ষেপে গিয়ে ওই সার্জেন্টকে ঘিরে ফেলেন।

সার্জেন্ট তখন ওয়্যারলেস সেটে কল দিলে শাহবাগ থেকে পুলিশবাহী কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় সার্জেন্টকে বাধা দিতে গিয়ে পিজি হাসপাতালের এক ডাক্তার রেদওয়ান, ব্যবসায়ী কামরুল হক মজুমদারসহ অনেকেই নাজেহাল হন। এক যুবক ছবি তুলতে গেলে সার্জেন্ট তার মোবাইল সেটটি নিয়ে ভেঙে ফেলেন।

নেমপ্লেট না থাকায় ওই সার্জেন্টের নাম জানা যায়নি। শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। তবে, আহত মামুন বলেছেন তিনি তাবলীগ করেন। পুলিশ অহেতুক তাকে মারধর করেছে। পরে মামলার ভয়ে তিনি বিষয়টি মিটমাট করতে রাজি হয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই