২২৭১ দিন পর পাকিস্তান…
দিনের হিসেবে সংখ্যাটা এক হাজার নয়, দুই হাজার ছাড়িয়েছে। ২০০৯ সালের মার্চের ৩ তারিখ ঘটে সেই রোমহর্ষক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে চলছিল পাকিস্তান-শ্রীলংকার মধ্যেকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তৃতীয়দিন খেলতে স্টেডিয়ামে আসছিল শ্রীলংকা। পথেই আক্রমণ করে বসলো সশস্ত্র জঙ্গিরা। যে হামলায় দু’জন সাধারণ নাগরিক এবং ৬জন নিরাপত্তারক্ষীসহ নিহত হয়েছিলেন মোট ৮ ব্যাক্তি। শ্রীলংকার ৫জন ক্রিকেটারও ওই আক্রমনে আহত হন।
এরপরই পাকিস্তান থেকে ক্রিকেট নির্বাসিত। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বিশ্বকাপসহ অনেক সিরিজের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেখানে আর কোন ক্রিকেট দল খেলতে রাজি হয়নি। যে কারণে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তান কোন ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতে পারেনি।
অবশেষে জিম্বাবুয়েকে হাতে-পায়ে ধরে, টাকা-পয়সা দিয়ে রাজি করালো পাকিস্তান। নানা শঙ্কা-আশঙ্কার দোলাচলে দুলতে দুলতে অবশেষে তারা এলো পাকিস্তানে এবং লাহোরের সেই গাদ্দাফী স্টেডিয়ামেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৭১দিন পর আবার শুরু হলো ক্রিকেটের পথচলা…
লাহোরের ঐতিহাসিক ম্যাচ নিয়ে আরও কিছু পরিসংখ্যান সংখ্যাতথ্য আকারে তুলে ধরা হলো বাংলামেইল পাঠকদের জন্য…
৫: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামা পাকিস্তানের বর্তমান একাদশের ৫জন ক্রিকেটার এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেন নিজ দেশের মাটিতে। এরা হলেন, আহমেদ শেহজাদ, উমর আকমল, আনোয়ার আলি, বিলাওয়াল ভাট্টি এবং মুক্তার আহমেদ।
৬-০: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি২০ ক্রিকেটে পাকিস্তানের জয়-পরাজয়ের রেকর্ড। টি২০ ক্রিকেটে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের মধ্যে একমাত্র জিম্বাবুয়েকেই হারাতে পেরেছে পাকিস্তান। বাকিগুলোতে হেরেছে নিজেরা।
১৪২: দ্বিতীয়বারেরমত টি২০ ক্রিকেটে পাকিস্তানের কোন জুটি ১৪২ রান করল। তবে কোন উইকেট জুটিতে এটা সর্বোচ্চ নয়। ২০১৩ সালে ১৪৩ রান করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ এবং মোহাম্মদ হাফিজ। এছাড়া ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কামরান আকমল আর সালমান বাট গড়েছিলেন ১৪২ রানের জুটি।
মন্তব্য চালু নেই