কর দিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে

এতদিন শিক্ষকরা আয়করের আওতার বাহিরে থাকলেও আগামী বাজেটে করের আওতায় পড়বেন শিক্ষক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি কোচিং সেন্টারগুলোও। চলতি এপ্রিলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিষয়টি কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধের বিধান রেখে সংস্কার আইন চুড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে এনবিআর। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুযায়ী, এমপিওভুক্ত বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের প্রাপ্ত ও অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করতে হবে। এপ্রিলে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে আসে।

নির্দেশনায় দেশের সব সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে আয়করের আওতায় আনতে বলা হয়েছিল। এজন্য আয়কর আইন ১৯৮৪ সালের ধারা ৫৩ এফ এর বিধি ১৭ এইচ এর সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কলেজ, অন্যান্য কলেজ, মেডিকেল, ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কলেজ ইনস্টিটিউশন ১০ শতাংশ আয়করের আওতায় আনার জন্য আইন সংশোধন করছে এনবিআর।

এনবিআর সূত্র আরও জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি কারিকুলামে পাঠদান করে ও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয় তাদেরকে ১০ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করতে হবে। আইন সংশোধনের পর উপরে উল্লেখিত সব বিনিয়োগের ওপর উৎসে আয়কর আদায় হবে এবং সর্বক্ষেত্রে ১০ শতাংশ হারে আয়কর আদায় করবে এনবিআর।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্র বিস্তৃতির জন্য সরকারের নির্দেশে এনবিআর কাজ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর সঙ্গে জড়িতদের ওপর কর আরোপের উদ্যোগ এসবেরই অংশ। আর আইন কার্যকর হলে সংশ্লিষ্টদের অর্জিত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই