বুধবার কাঠগড়ায় দাড়িয়ে যা বললেন হ্যাপী
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগের এই মামলায় বাদী হ্যাপী ও আসামি রুবেলের উপস্থিতিতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি আবেদন খারিজের আদেশ দেন বিচারক তানজিনা ইসমাইল।
বুধবার নারাজি আবেদনের শুনানিতে কাঠগড়ায় হ্যাপী বলেন, “মামলার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আমার কাছে কিছুই শোনেননি। আমাকে কোনো নোটিসও দেননি এবং আমার পক্ষের সাক্ষীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেননি।”
মামলায় যেসব আলামত রয়েছে সেগুলোও কোনো পরীক্ষাও করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন কিছু আশা কিছু ভালোবাসা চলচ্চিত্রের এই নায়িকা।
হ্যাপী বলেন, “যখন আমার মেডিকেল পরীক্ষা করার দরকার ছিল, তখন তা করেনি। অথচ আমি থানায় গিয়েছিলাম, আমি পরীক্ষা করতে বললে পুলিশ অনেক গড়িমসি করেছে। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন নষ্ট হয়ে যাওয়ার অনেক পরে পরীক্ষা করেছে।”
শুনানিতে হ্যাপীর আরেক আইনজীবী আবদুল্লাহ মনসুর রিপন যুক্তরাষ্ট্রের মনিকা-ক্লিনটন মামলা এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ডিএনএ টেস্ট পরীক্ষার উদাহরণ টেনে বলেন, “আমরা তো বারবার আইও’র (তদন্ত কর্মকর্তা) কাছে গিয়েছিলাম।”
পুলিশকে সরবরাহ করা আলামতগুলো পরীক্ষার ব্যবস্থা না করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে অনিয়ম করেছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুল্লাহ মনসুর।
এর বিরোধিতা করে রুবেলের আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, “চিকিৎসক কোনো ক্ষেত্রে দৈহিক সম্পর্কের কোনো চিহ্ন পাননি।”
তদন্ত কর্মকর্তা সঠিক তথ্য দিয়েছেন দাবি করে অভিযোগ থেকে আসামি রুবেলের অব্যাহতি চান তার আইনজীবী। এরপরই বিচারক আদেশ দেন।
মন্তব্য চালু নেই