সাক্ষাতে কাঁদলেন সালাহউদ্দিন-হাসিনা আহমদ
দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি দিন পর স্ত্রী হাসিনা আহমদের দেখা পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। শিলং সিভিল হাসপাতালের বন্দি সেলে আজ রাত সাড়ে ৮টায় দেখা হয় দু’জনের। এ সময় তাদের চোখে ছিল পানি। দু’জনে কথা বলেছেন একান্তে। চিকিৎসা ও আইনী প্রক্রিয়া নিয়ে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করেছেন সালাহউদ্দিন।
আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় মেঘালয়ের শিলং পৌঁছান হাসিনা আহমদ। রোববার রাতে ঢাকা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে প্রথমে তিনি কলকাতা যান। কলকতা থেকে আসামের গোয়াহাটি হয়ে সন্ধ্যায় শিলংয়ে পৌঁছান তিনি। তার সাথে রয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদের বোন জামাই মাহ্বুবুল কবির মুনমুন।
গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে অপহরণ হওয়ার পর থেকে স্বামীর সন্ধান পেতে গত দুই মাস দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন হাসিনা আহমদ। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। আদালতে গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধর্ণা দিয়েছেন। হাসিনা আহমদের বিশ্বাস ছিল-স্বামীকে ফিরে পাবেন তিনি। গত ১২ মে শিলংয়ে সালাহউদ্দিনের সন্ধান পান তিনি। সালাহউদ্দিন নিজেই স্ত্রীর কাছে ফোন করে নিজের অবস্থানের কথা জানান।
সালাহউদ্দিন জানান, তাকে অপহরণকারীরা শিলংয়ে ফেলে রেখে গেছে। শিলং পুলিশ তাকে প্রথমে মিমহ্যান্স মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন তিনি সিভিল হাসপাতালে বন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি নয়া দিগন্তকে জানান, সন্ধ্যা ৬টায় হাসিনা আহমদ শিলং পৌঁছান। এরপরই তিনি স্বামীর সাথে দেখা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের কাছে সময় চান। একইসাথে তিনি শিলংয়ের পুলিশের কাছে স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার প্রাথমিক বিবরণ দেন।
জনি জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিভিল হাসপাতালের বন্দি সেলে সালাহউদ্দিনের সাথে স্ত্রীর সাক্ষাত হয়। দীর্ঘদিন পর দেখা হওয়ায় দু’জনেই কেঁদেছেন। প্রায় আধাঘণ্টা তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন।
জনি বলেন, স্ত্রী চলে আসায় এখন দ্রুত আইনী বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্থানীয় আইনজীবীদের সাথে আজকালের মধ্যেই কথা বলবেন তারা।
মন্তব্য চালু নেই