লতিফ সিদ্দিকীর জামিন শুনানি ফের ২৫ মে
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে প্রাক্তন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সাত মামলায় জামিন শুনানির জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন মহানগর দায়রা জজ।
রোববার মামলাগুলোর জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আবেদন মঞ্জুর করে এ নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইল সমিতির মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরব গেছে। তাদের কোনো কাম নাই। তাদের কোনো প্রোডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন করতেছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা নিয়ে ওখানে দিয়ে আসছে। এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়, প্রত্যেকের ৫ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’
হযরত মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কীভাবে চলবে। তারা তো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করল যে, তার অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে একটা আয়ের ব্যবস্থা হবে।’
লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও কটূক্তি করেন। তার এ বক্তব্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় ঢাকার আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তি এ সাতটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়।
এরপর গতবছরের ২৩ নভেম্বর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। দেশে ফেরার পর পরই ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল তার গ্রেফতার দাবি করে। ২৬ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করার পর লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই