ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঠেকাবে যৌন উত্তেজক ঔষধ ভায়াগ্রা
যে পরজীবীটি ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী সেটা আংশিকভাবে মানব শরীরে ও আংশিকভাবে অ্যানোফেলাইন মশার শরীরে বেড়ে ওঠে।
পুরুষের যৌন সক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ ভায়াগ্রা রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সঞ্চালন কমিয়ে দিতে পারে। ফলে মানব শরীর থেকে মশার শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সঞ্চালনও কমতে পারে। এভাবে ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে পারে ভায়াগ্রার ঔষধি উপাদান। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
প্যারিসের ইনস্টিটিউট কোচিন ও ইনস্টিটিউট পাস্তেউর যৌথভাবে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এই বিষয়ে গবেষণা করছে।
গবেষক দলটি বলছে, ম্যালেরিয়া জীবাণুর কারণে হিমোগ্লোবিন ও অক্সিজেনের বাহক লাল রক্ত কোষ বা এরিথ্রোসাইটস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর ভায়াগ্রা এমন আক্রান্ত রক্ত কোষের জড়তা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে হয়তো একটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ম্যালেরিয়া রোগের বিস্তার কমিয়ে আনার চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারুম নামের যে পরজীবীটি ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী সেটা আংশিকভাবে মানব শরীরে ও আংশিকভাবে অ্যানোফেলাইন মশার শরীরে বেড়ে ওঠে। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা এই পরজীবীর ক্লীবলিঙ্গকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, যা আসলে এই রোগের উপসর্গ তৈরি করে। কিন্তু কামড় বসানোর পর মানুষের শরীর থেকে মশার শরীরে ছড়িয়ে পড়া পুরুষ ও স্ত্রীবাচক বা লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পরজীবীকে লক্ষ্য করে চিকিৎসা পরিচালিত হয় না।
বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, ভায়াগ্রায় ব্যবহৃত প্রধান উপাদান ‘সিলডেনাফিল সিট্রেট’ পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করলে লাল রক্ত কোষের জড়তা বাড়িয়ে দিয়ে সেখানে বাসা বাঁধা লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ম্যালেরিয়া পরজীবীকে পরাস্ত করা সম্ভব হতে পারে। অর্থাৎ ভায়াগ্রার মূল ঔষধি উপাদানকে রূপান্তরিত করে পুরুষাঙ্গ উত্থানের কার্যকারিতার বদলে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কাজে লাগানো যেতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্লস প্যাথোজেন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। পিটিআই-এর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই