যশোরে স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ॥ থানায় মামলা

যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর ভাই বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে। আসামিরা হচ্ছে ধর্ষিতার স্বামী মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আজাদ হোসেন,ভগ্নিপতি লিটন হোসেন,লিটনের ভগ্নিপতি আবুল হোসেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ওই গৃহবধূ দরিদ্র পরিবারের সন্তান। মাস তিনেক আগে আজাদের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে নানাভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। ৭ মে রাত ১টার দিকে জরুরী কথা আছে বলে গৃহবধ লিটনদের একটি মেহগুনি বাগানে নিয়ে যায়। স্বামীর কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে ওই বাগানে যায়। আজাদ তার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে। আর অন্যরা পালক্রমে তাকে ধর্ষন করে। প্রায় আধাঘন্টা ধরে শারীরিক নির্যাতনে তার বোন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে আসামির আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাটি ধাঁমচাপা দেয়ার জন্য বাড়িতে রেখে তার চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু ওই নববধু আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সেখানে ধর্ষিতা সাংবাদিকদের কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। সে অনুযায়ী সংবাদ পত্রে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সোমবার এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি সিকদার আককাছ আলী জানিয়েছেন, অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের ঘটানা সত্য বলে মনে হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই