মানবতাবিরোধী মামলার আসামিরা পলাতক
ট্রাইব্যুনালের ক্ষোভ, পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
একটি মামলায় কিশোরগঞ্জের পাঁচজনের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে শুনানিকালে চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে।
আদালত বলেন, ‘আমরা গ্রেফতারের আদেশ দেই। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারে না।’
আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাইব্যুনাল।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা এ বিষয়ে আলোচনা করে দেখবেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।
পরে এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা তদন্ত সংস্থার নেই। পুলিশের উপর নির্ভর করতে হয় আসামিকে গ্রেফতারের জন্য। তদন্ত সংস্থাকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হলে এসব সমস্যার সমাধান হত।’
তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে পলাতক আসামিদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।’
কিশোরগঞ্জের পাঁচজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
তারা হলেন- গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদ। এদের মধ্যে শামসুদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, জামালপুরের আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে।
গ্রেফতারেরা হলেন- শহরের নয়াপাড়া এলাকার এ্যাডভোকেট শামছুল হক (৭৫) ও সিহংজানি বালক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা এসএম ইউসুফ আলী (৮২)।
এ মামলায় পলাতক ছয়জন হলেন- মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারি, হারুন, মো. আবুল কাসেম।
মন্তব্য চালু নেই