চাল আমদানিতে ১০% শুল্ক আরোপ

বিদেশ থেকে চাল আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানান, কয়েকদিন আগে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তার মতে, বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং চাল আমদানীর কোন প্রয়োজন নেই।

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে এ তথ্য দেন কৃষিমন্ত্রী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘গত তিন বছর সরকার আমদানি এক ছটাকও করেনি, এটা আমি পরিষ্কার বলতে পারি।’

তবে খাদ্যদ্রব্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক না থাকায় বেসরকারি পর্যায়ে অনেকে সেই সুযোগ নিয়ে চাল আমদানি করছে।
বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধানের বেশ ফলন ভালো হলেও চাষাবাদের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষকেরা। এর একটি অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ভারত থেকে কম দামে চাল আমদানি করাকে।

একদিকে বাংলাদেশে ধানের ভালো ফলন এবং অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে চাল আমদানি– এই দুই মিলিয়ে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাজার পর্যবেক্ষকরা।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত চাল আমদানী হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লাখ টন। এর বাইরে আরও দশ লাখ টন চাল আমদানি করার জন্য ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন। কারণ বাংলাদেশের বাজার থেকে ধান ক্রয় করে চাল তৈরি করতে যে খরচ হয়, তার চেয়ে কম দামে ভারত থেকে আমদানি করা যাচ্ছে।

চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হলেও ব্যাপকভাবে চাল আমদানি করা হচ্ছে কেন? একজন দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারতের গুদামে যে চাল থাকে, সেটি দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে গুদাম খালি করার জন্য ‘পানির দামে’ ছেড়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশের অনেক ‘অসাধু ব্যবসায়ী’ সেই সুযোগ নিয়ে চাল আমদানি করে।

তিনি বলেন, বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে চাল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।



মন্তব্য চালু নেই