‘স্থলসীমান্ত চুক্তিতে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি হওয়ায় বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হত না। কারণ, এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল ভারতের কাছে সীমান্ত চুক্তির প্রস্তাব দেওয়ার সাহস তাদের ছিল না।’

গাজীপুরের সালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) বেগম সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে শনিবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি স্থাপনা উদ্বোধন, নামফলক উন্মোচন এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বশেমুরকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বশেমুরকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, কৃষিবিদ আবদুল মান্নান ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্থল সীমান্ত চুক্তি ভারতের লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

স্থলসীমান্ত চুক্তির সাফল্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে তিন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারীর বিজয় অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দুইশ’ বছর ধরে আমাদের বৃটিশদের গোলামী করতে হয়েছে। সেই বৃটিশ পার্লামেন্টে এই বিজয় বাংলাদেশের সাফল্য।’

হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘আমরাই যাব ভবিষ্যতে। আর কিছু বললাম না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গবেষণা দিয়ে সবই অর্জন করা সম্ভব। গবেষণা ছাড়া কোন দেশের সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই গবেষণার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।’

দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গবেষণার কারণেই এই সাফল্য এসেছে।’
গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি গবেষকদের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি গবেষণায় তারা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে এখন খাদ্যে ঘাটতি নেই। কৃষি গবেষণা ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে আমরাও বিশ্বে খাদ্য যোগান দিতে পারব।’

কৃষিখাতে তার সরকারের নানা সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্গাচাষিদের জামানাত ছাড়া ঋণ দেওয়া শুরু করেছে তার সরকার।’

কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় এই কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভিক্ষার ঝুলি নয়, মাথা উচু করে বাঁচতে চাই। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত করতে চাই। এজন্য কৃষির উন্নয়নে গবেষণার জন্য সব সহযোগিতা করবে সরকার।’



মন্তব্য চালু নেই