কোমল পানীয়র চুমুকে লুকানো ক্ষতি

চড়া রোদে বাইরে বের হলেই হাসফাঁস করে প্রাণ। কাঠফাটা রদ্দুরে গলা শুকিয়ে হয় চৌচির। একটুখানি স্বস্তির আশায় ছোট বড় সবাই হাত বাড়িয়ে বেছে নেয় ঠাণ্ডা কোমল পানীয়। কোমল পানীয়র বোতলে দেয়া এক চুমুক হয়তো ক্ষণিকের ভালো লাগা এনে দিতে পারে কিন্তু লুকিয়ে থাকে স্থায়ী ক্ষতি।

কোমল পানীয়ের এই আরামদায়ক চুমুক বাড়িয়ে দেয় টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। কারণ কোমল পানীয় সাময়িক এনার্জি লেভেল বাড়িয়ে দেয় ৫ শতাংশ। এই এনার্জি আবার টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় প্রায় ১৮ শতাংশ। শুধুমাত্র সোডা, সফট ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় নয়, চা, কফিতে অতিরিক্ত চিনিও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি খেলে টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে ১৪ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফ্রান্সিসকো কন্টারাইজ জানান, অত্যধিক কোমল পানীয় পানের ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসে, যা মানব দেহের জন্যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়!

সাধারণত কোমলপানীয় ভর্তি ৫০০ গ্রামের একটি বোতলে কার্বন, ১৭০ ক্যালোরি সোডা এবং ১৫ চামচ চিনি ব্যবহার করা হয়। এইসবই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খিদে না পাওয়া, অবসাদ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, দাঁতের ক্ষয়, বন্ধ্যাত্বের মতো রোগের ঝুঁকিও কোমল পানীয় থেকে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।

এসব ঝামেলা থেকে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে রক্ষা করতে কোমল পানীয় ত্যাগ করুন। অতিথি আপ্যায়নেও কোমল পানীয়ের পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করুন। তাছাড়া ছোটদের একদমই এগুলো স্পর্শ করতে দেয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত গরমে নিজেকে চাঙ্গা করতে বেছে নিতে পারেন যেকোনো ফলের ফ্রেশ শরবত, ডাবের পানি বা লেবুর শরবত। তবে লেবুর শরবত বা ডাবের পানি খাওয়ার আগে অবশ্যই হালকা খাবার খেয়ে নিতে হবে। কারণ এতে থাকা এসিড খালি পেটে খেলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।



মন্তব্য চালু নেই