তীব্র তাপদাহ ও হঠাৎ গরমের কারনে

ঝালকাঠি জেলা জুড়ে গত ৩ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি

তীব্র তাপদাহ ও হঠাৎ গরমের কারনে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আক্রান্ত রোগীতে পরিপূর্ন হয়ে পরেছে। গত ৩ দিনে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দেড় শতাধিক, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় শতাধিক জন, রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮০ জন ও কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা গ্রহন করেছে। অস্বাভাবিক গরম ও তাপদাহে বিশেষ করে শিশু বৃদ্ধরা বেশী ডায়রিয়ায় আকান্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত তিন দিন ধরে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর চাপ বৃদ্ধির কারনে ডায়রিয়ার স্যালাইনের সংকট হওয়ার উপক্রোম হয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপের কারনে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সীটের সংকটের কারনে ওয়ার্ডের মেঝেতে সিট করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে হাসপাতালে আগত রোগীর চেয়ে আরো ৩ গুন বেশী রোগী বাহিরের ক্লিনিক ও প্রাইভেট চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩ দিনে ঝালকাঠি হাসপাতালে প্রায় দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে যারমধ্যে ৮০ জনের বেশী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যারমধ্যে ৪০ জনের বেশী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ৮০জনের বেশী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যারমধ্যে ২০ জনের বেশী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় জনের বেশী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে যারমধ্যে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

ঝালকাঠি জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৩দিনে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলো থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবারহ করা হয়েছে। তবে রোগী হার আরো বৃদ্ধি পেলে তখন চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই