দুর্নীতি মামলা
খালেদার দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৫ মে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসায় অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণ ও বার কাউন্সিল নির্বাচনে আইনজীবীদের ব্যস্ততা থাকায় দুই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তার অনুপস্থিতেই জিয়া চ্যারিটেবল মামলার সাক্ষ্য দেন বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
এর আগে, মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখতে সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা।
রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ আবেদন করেন এই আইনজীবী।
মঙ্গলবার মামলা দুটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
সময়ের আবেদনে উল্লেখ্য করা হয়, বেগম খালেদা জিয়া নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি এবং সিনিয়ার আইনজীবীরা বার কাউন্সিল নির্বাচনে ঢাকার বাইরে ব্যস্ত রয়েছেন।
সময়ের আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা দুটির বিচারক বদলি চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন শুনানির জন্য রয়েছে। সব দিকে বিবেচনা করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখা হোক।
এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মন্তব্য চালু নেই