চিনে নিন আপনার লিভারকে সুস্থ রাখবে এমন ১১ টি খাবার
ত্বকের পরে লিভার মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ যার ওজন প্রায় ৩ পাউন্ডের মত। হজমক্রিয়া পরিচালনা, বিপাকক্রিয়া, অনাক্রম্যতা এবং দেহে বিভিন্ন পুষ্টির সঞ্চয় ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে এই লিভার। বিশেষ এই অঙ্গটি দেহের কোষে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে যেগুলো মানবদেহের কোষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
এটি রক্তনালী থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে বলে জানান মিসিসাউগা থেকে হোলিস্টিক পুষ্টিবিজ্ঞানী হারমিট সিউড়ি। লিভারের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে সচল রাখতে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন।
১. রসুন :
রসুন লিভারকে এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম নামক দুটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা লিভার পরিপাকে সহায়তা করে।
২. গ্রিন টি :
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটচিন নামক এক ধরনের উদ্ভিজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারের সামগ্রিক কাজ পরিচালনাকে সহায়তা করে থাকে। তাই এই গ্রিন টি খাওয়া লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৩. জাম্বুরা :
জাম্বুরা ফলটি সরাসরি বা জুস করে খেলে তা ক্যান্সার উৎপাদক উপাদান এবং টক্সিন নির্মূলে লিভারকে সহায়তা করে থাকে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
৪. শালগম :
শালগমে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা লিভারের সার্বিক কাজে সহায়তা করে থাকে।
৫.সবুজ শাক :
সবুজ শাকে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন অন্যান্য খাবারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ এবং কীটনাশকের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে থাকে যা লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৬. আভাকাডো :
আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আভাকাডোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তা আপনার দেহে গ্লুটাথায়ন নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরি করে যা লিভারকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
৭. ব্রোকলি :
ব্রোকলি দেহে গ্লুকোসিনোলেট উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যেটি হজমে সহায়ক এনজাইম তৈরি করে।
৮. লেবু :
এই বিষয়ে আমরা সবাই নিশ্চয়ই জানি যে সাইট্রাস জাতীয় ফল লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারি। কিন্তু এছাড়াও লেবু দেহের বিভিন্ন টক্সিন নির্মূল এবং হজমে সহায়তা করে থাকে।
৯. হলুদ :
মসলা হিসেবে হলুদ খেলে তা আমাদের শরীরে হজমে এবং পিত্তথলী পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি লিভারের প্রাকৃতিক ডেটক্স হিসেবে কাজ করে। মূল্যবান অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর হলুদ লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে হেপাটাইটিস বি এবং সি এর ভাইরাস নির্মূলেও এই হলুদ অত্যন্ত সহায়ক।
১০. আখরোট :
আখরোটে গ্লুটাথায়ন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা লিভার পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।
১১. আমলকি :
আমলকির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আমলকি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং হজমে সহায়তা করে।
মন্তব্য চালু নেই