খুব শীঘ্রই আবারও কঠোর আন্দোলনে বিএনপি

সিটি নির্বাচন উপলক্ষে সরকার বিরোধী টানা তিন মাসের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে বিএনপি। সেই সিটি নির্বাচনে সরকার দলের কারচুপি ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে মাঝপথ থেকে সরে এসেছে দেশের বড় এ রাজনৈতিক দলসহ অনেকে। তাই সরকারকে আর কোন ধরণের ছাড় দিতে চায় না বিএনপি।

দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গুছিয়ে এবং দলীয় ফোরামে ও জোট নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই বড় ধরণের আন্দোলনে নামবে তারা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করেন, সরকার ২০ দলীয় জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের উপর স্বৈরতন্ত্র শাসন চালাচ্ছে। এ থেকে নিজেদের ও সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় যার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে স্বাদ বাঙালী জাতি পাবে না।

বিএনপি নেতারা আরও জানান, এখনই আন্দোলনে নামতে চায় না তারা। কেননা আগে দলের মাঠ পযায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং বিভিন্ন মামলায় যেসব নেতারা জেলহাজতে রয়েছে তাদেরকে জামিনের মাধ্যমে মুক্ত করে খুব শীঘ্রই আন্দোলন নামবেন তারা।

এদিকে বিএনপির একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, সামনে পবিত্র মাহে রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার কথা মাথায় রেখেই আন্দোলনের নামার চিন্তা ভাবানা করছেন দলের সিনিয়ন নেতৃবৃন্দ। তারা মনে করেন, সামনে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় উৎসব এর মধ্যে আন্দোলনে নামলে সে আন্দোলন অতোটা শক্তিশালী হবে না। তাই যা করতে হবে ভেবে চিন্তেই করতে হবে।

সূত্রটি আরও জানান, আন্দোলনে নামলেই সরকার নেতাকর্মীদের উপর গুলি চালায়। তাই নেতাকর্মীরা মাঠে থাকে না। এজন্য সামনে আন্দোলনের মাঠে নামতে হলে শক্তিশালী হয়েই নামতে হবে। আগামীতে মাঠে নামলে সরকারের পতন ঘটিয়েই ঘরে ফেরা হবে বলেও জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক নেতা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, আসলে বর্তমান সরকার স্বৈরাচার। তার বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে খুব সাবধানে করতে হবে। তাই এখনই আন্দোলনে নেমে কোন লাভ নেই। তবে দলকে আরো সুসংগঠিত করে খুব শীঘ্রই আন্দোলনে নামতে হবে। এ নিয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা চলছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ সরকার একের পর এক অন্যায় করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সরকারের বিদায় ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।



মন্তব্য চালু নেই