ব্রেইন ক্যান্সার সম্পর্কে যে ১০ টি তথ্য সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী
অনেক বেশি পরিমাণ ক্যান্সারের টিস্যু যা ব্রেইন টিউমার নামেও পরিচিত, যদি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নষ্ট করে ফেলতে থাকে তখন তাকে ব্রেইন ক্যান্সার বলা হয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের জরীপ অনুযায়ী বছরে প্রায় ২২,০০০ মানুষ ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে প্রায় ১৩,০০০ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। তাই ব্রেইন ক্যান্সার সম্পর্কে সঠিক তথ্য সকলের জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর আজকে এই ব্রেইন ক্যান্সার সম্পর্কে জরুরী তথ্য জানাচ্ছেন, নিউ দিল্লীর, রকল্যান্ড হাসপাতালের, নিউরোসার্জারি ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডঃ রাকেশ কে দুয়া। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
১) ব্রেইন ক্যান্সার সাধারণত দু ধরণের হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবচাইতে কমন হচ্ছে সেকেন্ডারী ব্রেইন ক্যান্সার অর্থাৎ যে ক্যান্সার দেহের অন্যান্য অঙ্গ থেকে শুরু হয়ে ব্রেইনে পৌছায়। এবং অপর ধরণেরটি হচ্ছে গ্লিয়োব্যালাস্টোমা যা একটি প্রাইমারী ব্রেইন ক্যান্সার অর্থাৎ এই ধরণের ক্যান্সার সরাসরি মস্তিষ্কে হয়ে থাকে।
২) প্রাইমারী ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জীবিত থাকার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ১০ থেকে ১২ মাস, যদি সকল ধরণের সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়া হয়। এবং সেকেন্ডারী ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ক্যান্সার ছড়ানোর উপর নির্ভর করে ৬ থেকে ১২ মাস।
৩) ব্রেইন ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধীরে ধীরে মাথাব্যথা হওয়া এবং এর তীব্রতা বাড়তে থাকা, হাত পা অবশ বোধ হওয়া, কথা বলতে সমস্যা হওয়া, হাঁটতে সমস্যা হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে আসা এবং স্বাভাবিক আচার আচরণে পরিবর্তন আসা।
৪) ব্রেইন ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরণের উপর নির্ভর করে। প্রাইমারী ব্রেইন ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয় সার্জারি দিয়ে এবং এরপর রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি দেয়া হয়। আর সেকেন্ডারী ব্রেইন ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় সার্জারি বা রেডিওথেরাপি-কেমোথেরাপি ও গামা নাইফ সার্জারির মাধ্যমে যা নির্ভর করে টিউমারের সংখ্যা ও আকারের উপর।
৫) ব্রেউন টিউমার ২০ বছরের কম বয়েসি শিশুদেরও হতে পারে। ৫-১০ বছর বয়সের টিউমার সাধারণত ক্যান্সার হয়ে থাকে।
৬) ব্রেইন ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় রেডিয়েশন।
৭) অনেক ধরণের ব্রেইন টিউমার রয়েছে যা একই রকম হয় না কখনো। আবার সব টিউমার কিন্তু ক্যান্সারের সৃষ্টি করে না।
৮) ব্রেইন ক্যান্সার পারিবারিক ইতিহাস অর্থাৎ জেনেটিক্স অনেকাংশে নির্ভর করে।
৯) মাথাব্যথার সমস্যা ব্রেইন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ, কিন্তু এর সাথে জড়িত থাকে মাথাব্যথার তীব্রতা ও কতোটা সময় পরপর মাথাব্যথার সমস্যা হয় সেটি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যথা করার সমস্যা ব্রেইন ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
১০) যারা প্রাইমারী ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা তাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করতে পারেন। কিন্তু যারা সেকেন্ডারী ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা পারবেন না।
সূত্রঃ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
মন্তব্য চালু নেই