আতাফলে এতো পুষ্টিগুণ!
আমাদের বসতবাড়ির আঙিনায় এবং বনে-জঙ্গলে জন্মে থাকে আতাফলের গাছ। অযত্ন অবহেলায় আতাফলের বংশ বিস্তার ঘটে, ফলও ধরে সহজে। সহজলভ্য এই সুস্বাদু ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি অনেকেরই খুব পছন্দের ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী আতাফলে আছে শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম। এছাড়াও আমাদের শরীরের জন্য উপকারী আরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
* আতাফলে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
* শরীরে হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম সরবারহ করে।
* আমাদের হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে আতাফলে থাকা ফসফরাস উপকারী ভূমিকা পালন করে।
* আতাফল শরীরের ডিএনএ ও আরএনএ সংশ্লেষণ, শক্তি উৎপাদনের জন্য ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থসমূহ সরবরাহ করে থাকে।
* আতাফলে রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
* আতাফলে থাকা পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
* আতাফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। তাই ত্বকের বার্ধক্যজনিত ছাপ দূর হয়।
* আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে।
* আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* আতাফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
* দীর্ঘস্থায়ী ফোঁড়ায় আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রলেপ দিলে তা পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়।
* পাতার রস উকুননাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মন্তব্য চালু নেই