ইয়ারফোন কেড়ে নিতে পারে শ্রবণশক্তি
ইয়ারফোনে গান শোনার অভ্যাস কমবেশি সবারই আছে। অথচ এই অভ্যাসই আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, আইপড বা এমপিথ্রিতে হেডফোনের মাধ্যমে গান শুনলে আপনার কান ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়ার প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হতে পারে। এমনকি সংক্রমণের কারণে তীব্র কানে ব্যথা ও শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন। তাদের প্রকাশিত গবেষণা মতে, উচ্চশব্দে ইয়ারঠোনে গান শোনা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
খুব জোরে দীর্ঘক্ষণ গান শোনার কারণে বিশ্বের একশ কোটি ১০ লাখ কিশোর ও তরুণ শ্রবণযন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির মতে, অডিও প্লেয়ার, কনসার্ট ও বার ‘মারাত্মক হুমকির’ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডব্লিউএইচও’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী চার কোটি ৩০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়েছে এবং এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
অনলাইন জার্নাল হেলথ এন্ড এলাইড সাইন্সে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা মতে, দীর্ঘ সময় ধরে ইয়ারফোন ব্যবহার আপনার কানের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার বাড়িয়ে দিতে পারে। এর আগে অনলাইন জার্নাল হেলথ এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় ইয়ারফোনে গান শোনার পর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায় একঘণ্টা গান শোনার পর ৬০ থেকে বেড়ে ৬৫০ অনুজীবে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া দূষিত একটি ইয়ারফোনে এই ক্ষতির পরিমান আরও অনেক বেশি। ইয়ারফোনের দূষণ সম্পর্কে অধিকাংশ লোকই সচেতন নন। অথচ এই ব্যাপারে সব গবেষণায় প্রমাণ মেলে। যারা বন্ধুদের সঙ্গে ইয়ারফোন ভাগাভাগি করে ব্যবহার করেন তাদের কানে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা আরও অনেক বেশি।
ইন্ডিয়ান বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, বিশ্বব্যাপি ইয়ারফোনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এটি খুবই প্রিয়।
তারা বলেছেন, ইয়ারফোন বা হেডফোন শক্তিশালী জীবানু বহন করে যা আপনার কানকে খুব সহজেই সংক্রমিত করতে পারে। অপরের ইয়ারফোন ব্যবহার করলে এই সংক্রমণের মাত্রাটা বেড়ে যায় অনেকগুন। ইন্ডিয়ান এই গবেষণা দলের প্রধান ড. চিরঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ইয়ারফোন কারো সঙ্গে শেয়ার না করা সবচেয়ে ভালো, যদি করতেও হয় তবে অবশ্যই তা পরিষ্কার করে নেয়া উচিৎ।
মন্তব্য চালু নেই