অল্পের জন্য ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক
অল্পের জন্য ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক। রবিবার তিনি জেলা শহরের রাজবাড়ি সড়কের রেলক্রসিং পয়েন্ট অতিক্রমের সময় তাকে বহনকারী গাড়িটি রেললাইনে আটকা পড়ে।
রেলওয়ের কর্মচারী ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার মোহনগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলরুটে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে দুপুর সোয়া দু’টার দিকে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে ময়মনসিংহগামী ডেমু ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেকে স্টেশনে প্রবেশের জন্য রাজবাড়ি সড়কের রেলক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়। কিন্তু হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক ওই সিগন্যাল না মেনে আউটার সিগন্যাল পেরিয়ে হোম সিগন্যালে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রেন থামিয়ে যাত্রী নামাতে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ রেলক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ থাকায় রাজবাড়ি সড়কে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। এসময় গাজী নিয়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলামও সেখানে আটকা পড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ট্রেনটি একই স্থানে থেমে থাকায় রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ ট্রেনটিকে থেমে থাকার সিগন্যাল দিয়ে রাজবাড়ি সড়কের রেলক্রসিং পয়েন্ট খুলে দেন। এ সময় অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে বহনকারী গাড়ীটি রেলক্রসিং পয়েন্ট অতিক্রমের সময় হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় চলা শুরু করে। এতে আতংকিত হয়ে জেলা প্রশাসক দ্রুততার গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে সরে দাড়ান।
এ ঘটনায় পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় স্থানীয়রা লাল কাপড় উড়িয়ে এবং হাতে সিগন্যাল দিয়ে ট্রেনটিকে থামানোর চেষ্টা করলে চালক ৫০/৬০ মিটার দূরে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হয়। এতে অল্পের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসকসহ বেশ ক’জন পথচারী প্রাণে রক্ষা পান। পরে পুণরায় সিগন্যাল পেয়ে ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করে এবং ২টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন ত্যাগ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন জানান, ওই ক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার না থাকায় পথচারীদের প্রায়শ এ ধরণের ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার জানান, প্রথমে ক্লিয়ারেন্স দিলেও ট্রেনটি অজ্ঞাত কারণে স্টেশনে প্রবেশ না করে হোম সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে ক্লিয়ারেন্স উঠিয়ে নিয়ে ক্রসিং পয়েন্টের গেইট খুলে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর পুণরায় ক্লিয়ারেন্স দিয়ে ট্রেনটিকে স্টেশনে প্রবেশ করানো হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই ২টা ৩৮ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন ত্যাগ করে।
এ ব্যাপরে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম জানান, ট্রেনটি আসতে দেখে আমি দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে যাই এবং অন্যদের রেললাইনের ওপর থেকে সরে যেতে সাহায্য করি। ঘটনার সময় অদূরে দু’পাশে ট্রেন দেখে আমি খানিকটা ভীত হই।
মন্তব্য চালু নেই