এই গরমে বিশ খাইতেছেন না তো?
এম এ শিমুল : গরমের মৌসুম আসা মাত্রই ফলের বাজারের চেহারাটাই বদলে যায়। কাঁচা আম, আনারস, তরমুজ, কমলালেবু, বেল, পেয়ারা, আঙ্গুরসহ হরেকরকমের ফলে বাজার এখন রমরমা। প্রতিটা ফলই শরীরের জন্য উপকারী।
তবে নির্দিষ্ট সময়েই এসব ফল খাওয়া উচিত। যখন-তখন ফল খাওয়া আবার শরীরের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। তাই সময় বুঝেই ফল খান।
কাঁচা আম : আম পাকা কি কাঁচা দুটোতেই এর স্বাদ জিভে পানি এনে দেয়। তবে একটা কথা মনে রাখবেন, খালি পেটে কাঁচা আম কখনোই খাবেন না। আবার অতিরিক্ত পাকা আম খাবেন না। তা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আবার গ্যাসের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। মনে রাখবেন, কাঁচা আম খাওয়ার পর পরই পানি একেবারে খাবেন না।
উপকার : আম শরীরে শক্তি বাড়ায়। এনার্জি বাড়ায়। অন্যদিকে ত্বকের চমক বাড়াতেও সাহায্য করে।
সাইট্রাস ফল : এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে লেবু, মোসাম্বি, কমলালেবু। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। যারা জ্বরে ভুগছেন তাদের জন্য এ ফলগুলো ওষুধের কাজ করে। তবে অতিরিক্ত সর্দি ও কাশি হলে লেবু সরাসরি খাবেন না।
অন্যদিকে মূত্র রোগ বা বমি হলে মোসাম্বি কখনও খাবেন না। মোসাম্বি বেশি পরিমাণে চুষে খেলে দাঁত খারাপ হয়ে যায়। কমলালেবু শক্তি বাড়ায়। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠে বা রাতে শোয়ার সময় কমলালেবু খাবেন না।
উপকার : পিত্ত, ফোড়া, শ্বাসকষ্ট, বমি, কলেরা, জন্ডিস, মৃগী, কোষ্ঠকাঠিন্য—এ রোগের ক্ষেত্রে আপনি এই ফলগুলো খেতে পারেন।
তরমুজ : গরমে তরমুজ যেন প্রাণে নতুন প্রেরণা দেয়। তরমুজ কেটে তা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে খাওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই চমকপ্রদ। তবে তরমুজ কেটে কখনও খুলে রাখবেন না। খাওয়ার পর কমপক্ষে এক ঘণ্টা পানি খাবেন না।
উপকার : মৃগী, পিত্ত, জন্ডিস, মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা হলে তরমুজ খান। উপকার পাবেন।
আঙ্গুর : আঙ্গুর খেতে যেমন সুস্বাদু, এর গুণও প্রচুর। এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে। তাই আঙ্গুর খেলেই এনার্জি বেড়ে যায়। তবে খালি পেটে কখনও আঙ্গুর খাবেন না। একদিনে ৫০ থেকে ৭৫ গ্রামের বেশি আঙ্গুর খাওয়া ঠিক নয়।
উপকার : আঙ্গুর বহু রোগের জন্য উপকারী। এলার্জি, জন্ডিস, এনিমিয়া, ক্যান্সার, হৃদরোগ, কাশি, সর্দি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর হলে আুুঙ্গর খেতে পারেন।
মন্তব্য চালু নেই