সিটি নির্বাচনে মাঠে নামছেন খালেদাও

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা শুরু হলেও। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা এ থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে ইচ্ছে মতো নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা শুধুমাত্র পথ সভা করার সুযোগ পাবে। তবে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো সড়কে প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো পথসভা এবং মঞ্চ তৈরিও নিষিদ্ধ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে থাকলেও এ নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। ঢাকাকে বিএনপির কজ্বায় নিতে এবার মাঠে নামবেন খালেদা জিয়া। ওয়ার্ড পর্যায়ে যে পথসভাগুলো হবে অধিকাংশেই খালেদা জিয়া থাকবেন বলে জানা গেছে। কারণ এ নির্বাচনই হবে তার দলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট।

আগে সরকারি প্রোটকল থাকার কারণে সকল প্রকার কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিতে পারতেন না। তবে এবার যেহেতু তিনি সংসদের বাইরে রয়েছেন তাই ঢাকাবাসীর খুব কাছে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্ভব হলে কয়েকটি বস্তি এলকায়ও তিনি যাবেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনবেন এবং সময়োপযোগী বাস্তবভিত্তিক প্রতিশ্রুতিও দেবেন। আর চাইবেন পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোট। মূলত খালেদা জিয়া ঢাকার জনগণকে বোঝাবেন জাতীয় নির্বাচন থেকে ঢাকার সিটি নির্বাচন কোনো অংশে কম নয়।

আর এ কারণেই দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকে বিভক্ত ঢাকায় মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। এমনকি মির্জা আব্বাসকে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব পদেও অতীতে আলোচনা হয়েছে। ডিসিসি এবং চসিক নির্বাচনকে পুঁজি করে খালেদা জিয়া তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবেন বলে দলের নেতাদের বিশ্বাস। এজন্যে চলতি সপ্তাহে হরতাল এড়িয়ে চলছে দলটি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অবরোধও প্রত্যাহারের ঘোষণা আসতে পারে।

ইতিমধ্যেই বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু দলের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনেরও দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে এবারের ঢাকা সিটি করপোরেশন পরিচালনার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ। তার নেতৃত্বে বিএনপিপন্থি ১১টি পেশাজবীবী সংগঠনের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ ফোরামও গঠন হয়েছে। ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’ শ্লোগানে প্রচারণা চালাবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।

এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা প্রকাশ্যে এসেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। ২/১ দিনের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমনকি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং শীর্ষ নেতারাও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন।’



মন্তব্য চালু নেই