সারাদেশে হচ্ছে ৪৯০ স্টেডিয়াম

দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি করতে সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ৪৮৯টি উপজেলায় ৪৯০টি খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে রূপান্তর করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।

এ লক্ষ্যে ১২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়ামের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পসহ মোট তিন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আজকের সভায় ৬৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার মোট ৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে আসবে ৬২২ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।’

মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরি এবং যুব সমাজের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে অনেক আন্তরিক। তার নির্দেশে দেশের প্রত্যেক উপজেলায় কমপক্ষে একটি করে খেলার মাঠ উন্নয়নে এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। পুরোপরি সরকারি অর্থায়নের এ প্রকল্পটি জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ মেয়াদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাস্তবায়ন করবে।’

তিনি বলেন, ‘এসব মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করার জন্য স্কুল-কলেজের মাঠ ব্যবহার করা হবে না। কারণ স্কুল-কলেজের মাঠ ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের সমস্যা হবে। তাই আমরা উপজেলার উপযুক্ত কোনো জায়গায় এ স্টেডিয়াম তৈরি করবো। এজন্য আমরা সরকারি জমি ব্যবহার করবো।’

এসব স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট, হকিসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন ও অনুশীলনের সুবিধা থাকবে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ৪৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ‘বিমান বন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানিগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়ককে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। পুরোপরি সরকারি অর্থায়নের এ প্রকল্পটি মার্চ ২০১৫ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মেয়াদে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করবে।

‘ঢাকা-বরিশাল অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে পরিচালনার জন্য ২টি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ সংগ্রহ’ প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।



মন্তব্য চালু নেই