রওশনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী
সংসদে বিরোধী দলের নেতা বেগম ওরশন এরশাদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার জন্য এখন সংসদে অশালীন শব্দের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে, খিস্তিখেউর শুনতে হচ্ছে না। এখন সন্তানদের নিয়ে টিভিতে সংসদ অধিবেশন দেখা যায়। এই অবদানের জন্য সরকারের অংশীদার বিরোধী দলীয় নেত্রীকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তিনি সংসদে আসেন এবং সরকারের সমালোচনাও করেন। এখন আর সংসদে অযথা খিস্তিখিউর শুনতে হয় না। টেলিভিশনের সামনে সন্তানদের নিয়ে আগে বক্তব্য শোনা যেতো না। বিরোধী দলীয় নেত্রী আমাদেরকে সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব ও পঞ্চম সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণের ওপর বক্তব্যদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় সভাপতির আসনে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ভাষণের পুরো সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
দীর্ঘ প্রায় ৮০ মিনিট বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। বক্তব্যের অধিকাংশ সময়জুড়ে ছিল ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও জামায়াত প্রসঙ্গ।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রওশন এরশাদ ছাড়াও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও হুইপদের সংসদ কার্যপরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বর্তমান ও ২০০৮ সালের সংসদের পার্থক্য তুলে ধরে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দুই সংসদের মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে। আর তা হলো- ২০০৮ সালের সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলের কিছু কিছু সদস্য সংসদে এমন অশালীন বক্তব্য দিতো যার জন্যে জাতির কাছে আমাদের মাথা হেট হয়ে যেতো। আর তখনকার বিরোধী দলের নেতা তো সংসদেই আসতেন না। তবে কথা বেশি বলতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করি। আর বিএনপি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’
নিজ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ওয়াদা দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। আমরা সেই ওয়াদা রেখেছি। বিচার কার্যকর শুরু হয়েছে। বিচারের কাজ অব্যাহত থাকবে।’
বক্তব্যের এক পর্যায়ের ক্রিকেট দলেরও প্রশংসা করেন তিনি। এবার বিশ্বকাপে জাতীয় ক্রিকেট দল খুব ভালো খেলেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য চালু নেই