স্বাদে ভরা কাঁচা আমের দারুন পুষ্টি

বাজার পাওয়া যাচ্ছে টক-মিষ্টি স্বাদের কাঁচা আম। লবণ মরিচে কাঁচা আমভর্তা কে না পছন্দ করে? উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ এর অধিকারী ফলটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে আছে ২ গ্রাম আঁশ, খাদ্যশক্তি ৪৪ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ২০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৫.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ ১-০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিনবি২ ০.০১, ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম ও ক্যারোটিন ৯০ গ্রাম। এসব উপাদান শরীরের জন্য যে কল্যাণ বয়ে আনে তা জেনে নেয়া যাক।

* কাঁচা আমে রয়েছে প্রি-বায়োটিক ডায়াটারি ফাইবার নামের জরুরি উপাদান, যা পাকস্থলী, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

* আমে রয়েছে কপার নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা দেহে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে।

* ভিটামিন ‘বি সিক্স’ বা পাইরিডক্সিনও রয়েছে এই ফলে। পাইরিডক্সিন মানুষের মস্তিষ্কে গাবা নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে, যা প্রতিরোধ করে স্ট্রোক ও মস্তিষ্কের অন্যান্য জটিল রোগ।

* কাঁচা আমে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদেরাগীরা কাঁচা আম লবণ বা চিনি দিয়ে খাবেন না। কাঁচা লবণ রক্তচাপ বাড়ায় আর চিনি বা মিষ্টি রক্তের সুগার বাড়ায়।

* আমে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুব উপকারী। চোখের স্নায়ু ও মাংসপেশি শক্তিশালী করতে এর ভূমিকা অপরিহার্য।

* কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ছোঁয়াচে রোগ থেকে দূরে রাখে। দাঁত, চুল, নখ ভালো হওয়ার জন্য ভিটামিন ‘সি’ যথেষ্ট জরুরি।

* কাঁচা আমের ভিটামিন সি অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবেও কাজ করে। অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দেয়।

* আমাদের দেহে রক্তের মধ্যে টক্সিন নামের কিছু উপাদান রয়েছে, যা দেহে রোগ তৈরি করে। এই টক্সিনকে ধ্বংস করে কাঁচা আম।

* মুখের ভেতরের চামড়া উঠে যাওয়া, মাড়িতে ঘা হওয়া, ঠোঁটের কোনায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া ফেটে যাওয়া অসুখে আমে থাকা ভিটামিন ‘সি’ খুবই কার্যকরী।

* গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা আম খেলে বাচ্চার মেধা ভালো হয়, জন্মের পর বাচ্চার সংক্রামক রোগগুলো তুলনামূলকভাবে কম হয়।

* কাঁচা আমে রয়েছে মোট ১৭ রকমের অ্যামাইনোএসিড। অ্যামাইনো এসিড মানুষের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বর্ধনের জন্য ভীষণ জরুরি।

* চর্বি কমাতে, ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে কাঁচা আম। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া বা অপারেশনের পরে এই ফল কাটা স্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করবে।

সতর্কতা- ডায়রিয়া চলাকালে কাঁচা আম না খাওয়ায় ভালো।



মন্তব্য চালু নেই