কি ভাবছেন? কিভাবে বন্ধ করবেন সঙ্গীর নাক ডাকা? জেনে নিন সহজ কিছু কৌশল

আপনি কি ঘুমের মাঝে নাক ডাকেন? এটাকে মোটেও অবহেলা করে কাটাবেন না , কারণ এটা যেমন আপনার পাশের মানুষটিকে ঘু্মোতে দেয়না, তেমনি আপনার জন্যও উপকারী নয় । আপনার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে এটা হয়। আবার,একলা ঘরে নাক ডাকিয়ে ঘুমালে তেমন সমস্যা না হলেও কারো সাথে ঘুমানোর সময় নাক ডাকা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

যিনি নাক ডাকছেন তার কোন সমস্যা না হলেও পাশের মানুষটির ঘুমের বারোটা বেজে যায় নাক ডাকার শব্দে। নাক ডাকা বিষয়টাকে আমরা যত সহজভাবে নেই ঠিক তত সহজ নয়। দেহে বাসা বাঁধা বিভিন্ন রোগের কারণেও নাক ডাকতে পারে মানুষ। তাই নাক ডাকাকে যত দ্রুত সম্ভব দূর করা উচিৎ। আসুন জেনে নেই নাক ডাকার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায়।

কাত হয়ে ঘুমান

যারা চিৎ হয়ে ঘুমান তাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষকে নাক ডাকতে দেখা যায়। এর কারণ হলো যখন চিৎ হয়ে শোয়া হয় তখন গলায় ভাইব্রেটিং শব্দের সৃষ্টি হয় যা নাক ডাকা হিসেবে ধরে নেই আমরা। কাত হয়ে বা যে কোন একপাশ হয়ে ঘুমালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 

ওজন কমানোর চেষ্টা করুন

ওজন বাড়ার সাথে নাক ডাকার সম্পর্ক রয়েছে। ওজন বাড়লে গলায় মেদ জমে এতে শ্বাসনালীর ব্যাস কমে আসে যা নাক ডাকার উদ্রেক করে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন নাক ডাকা কমে যাবে।

Man-Woman-Sleeping-Snoring-Upset-Angry

পরিমিত ঘুমান

ঘুম কম হলে নাক ডাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যারা প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের নাক ডাকতে বেশি দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে ডাক্তাররা বলেন, যারা কম ঘুমান তাদের ঘুমের চাহিদা রয়ে যায়, ফলে ঘুমুতে গেলে অনেক বেশি গভীর ঘুমে চলে যান এবং ক্লান্তির জন্য শরীরের মাংসপেশি এলিয়ে পরে। এতে নাক ডাকা শুরু হয়।

বালিশ বদলে ফেলুন

ঘরের ধুলোময়লাতে থাকা ডাস্ট মাইট বা এলার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ নাক ডাকার জন্য দায়ী। এই ডাস্ট মাইট বিশেষ করে বালিশে বাসা বাঁধে। যদি কোন কিছুতেই নাক ডাকা না কমে তাহলে বালিশ বদলে নতুন বালিশ আনুন।



মন্তব্য চালু নেই