নৈতিকতা নষ্ট করে ইন্টারনেট!

উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ বাসিন্দারা বলছেন শিক্ষার প্রসারে ইন্টারনেটের ভূমিকা ব্যাপক। ৩২টি দেশে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ‘পিউ গ্লোবাল অ্যাটিচিউট সার্ভে’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির জরিপে দেখা গেছে, ইন্টারনেট ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়নে অবদান রাখে। অন্যদিকে অর্থনীতিতেও ইন্টারনেটের ভূমিকা রয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোর মানুষের দৈনন্দিত কাজে কিভাবে ইন্টারনেট সহায়ক হয়েছে। এসব দেশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের প্রসারে এখন তারা তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, কিভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করে সামাজিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন। এই গবেষণায় জানানো হয়, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে লাভবান হয়েছেন।

জরিপকারী দল জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন । অন্যরা ইন্টারনেটে রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সরকারী সেবা সম্পর্কিত তথ্য খোঁজেন।

এসব ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ৩৬ ভাগ বলেছেন ইন্টারনেট ভালো কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্যদিকে শতকরা ৩০ ভাগ ব্যবহারকারী বলেছেন ইন্টারনেট খারাপ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেখানে শতকরা ৪২ ভাগ ব্যবহারকারী বলেছেন ইন্টারনেট মানুষের নৈতিকতার বিকাশে নেতিবাচক ভূমিকা রাখে।

জরিপ চালানো ৩২ টি দেশের শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। উন্নত দেশগুলোর তালিকায় আছে চিলি, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে চিলি ও রাশিয়ায় ১০ জনের ৭ জন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ৮৭ ভাগ।

জরিপ চালানো উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। এই দুটি দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ১১ ভাগ।



মন্তব্য চালু নেই