সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে পুলিশের সার্চ কমিটি

বিএনপির নিখোঁজ যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে সার্চ কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

কমিটিতে রয়েছেন- ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন, ডিএমপি ট্রাফিকের (উত্তর) সহকারী উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহনেওয়াজ রয়েছেন।

সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (সালাহ উদ্দিন) নিখোঁজ না আত্মগোপনে তা খতিয়ে দেখবে সার্চ কমিটি।’

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সালাহ উদ্দিনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক বা পুরোনো কোনো শত্রুতা তার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

সালাহ উদ্দিন আগেই বিদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন সে বিষয়টিও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে- সালাহ উদ্দিন বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্য কেউ তার নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠাচ্ছিলেন।

বিএনপি জোটের আন্দোলন শুরুর পর ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভী গ্রেপ্তার হলে গণমাধ্যমে নিয়মিত সালাহ উদ্দিনের নামে বিবৃতি আসছিল।

স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থেকে সরকার ও রাষ্ট্রকে বিপাকে ফেলতে বা আন্দোলন চাঙ্গা করতে নিখোঁজের ঘটনা ঘটানো হয়েছি কি না, সে বিষয়েও পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই শক্তিশালী সার্চ কমিটি কাজ করছে। সালাহ উদ্দিনের সন্ধানে বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে তার পরিবারের সদস্যরাও। এছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন নজরদারিতে। এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ও অপহরণচক্রের বিষয়েও অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

গত ১১ মার্চ রাত পৌনে ১১টার দিকে সালাহ উদ্দিনের পরিবার ও তার দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের একটি দল আটক করে নিয়ে গেছে। ১০ মার্চ রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ উদ্দিনকে আটক করা হয় বলে তারা জানান। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।

এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। ওই রিটের শুনানি শেষে ১৫ মার্চের মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করে কেন আদালতে হাজির করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।



মন্তব্য চালু নেই