গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে কি আলাদা সেবার প্রয়োজন আছে?
কিছুদিন আগেই জানতে পারলাম যে আমার গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে। এখন ৫ মাস চলছে। এখন মোটামুটি সুস্থ আছি। তবে যমজ সন্তানের কথাটি জানার পর থেকে কেমন যেন নার্ভাস লাগছে। আমি জানতে চাই যে গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে কি আলাদা সেবার প্রয়োজন আছে?
প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কল্যাণে গর্ভে থাকা সন্তানের অবস্থা আগে থেকেই জানতে পারেন বাবা-মা। আর ঠিক এই প্রযুক্তির সাহায্যেই আগে থেকেই বেশিরভাগ দম্পতি জানতে পারেন সন্তানের সংখ্যাটিও। গর্ভে যমজ সন্তান থাকলে অবশ্যই আলাদা সেবা এবং সতর্কতার প্রয়োজন আছে। কেননা ভেবে দেখুন আপনি একটি নয় দুটি সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন। আর দুটি সন্তান গর্ভে থাকার ফলে নানা ধরনের জটিলতা এবং কিছু ক্ষেত্রে মানসিক জটিলতাও তৈরি হতে পারে যেমনটা আপনার হচ্ছে। যার কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যাবশ্যক।
যে ধরনের জটিলতা হতে পারে :
যমজ সন্তান জন্মদান একজন শিশুর জন্মদানের চেয়ে কিছুটা বেশি বিপদজনক। এতে গর্ভবতী মায়ের শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে যখন নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই জন্মদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যখন শিশুরা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই জন্ম নেয় তখন তারা পৃথিবীর জন্য পূর্ণভাবে তৈরি থাকে না। তাই ইনফেকশন, শরীরের বিভিন্ন অংশের কাজ দেরীতে শুরু হওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তবে এ ব্যাপারে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। উপযুক্ত যত্ন ও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কাজ করলে সবকিছুই ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
মায়ের যা যা করা উচিত :
যমজ শিশু হওয়ার ক্ষেত্রে এমন অনেক ধরনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তবে এতে ভয় না পেয়ে মায়ের পর্যাপ্ত যত্ন, বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সুস্থ শিশুদের জন্মদানে সহায়তা করতে পারে অনেকাংশে। নিজের ঝুঁকিসমূহ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা, এসব নিয়ে প্রয়োজনীয় সব পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো চিকিৎসকের অধীনে সবসময় থাকা ও নিয়মিত চেক-আপ করানো প্রয়োজন। সবকিছু মেনে চললে আপনি সুস্থ ও সুন্দরভাবে যমজ শিশুদের পৃথিবীর আলো দেখাতে পারবেন।
মন্তব্য চালু নেই