মুক্তিপণ না পেয়ে কোটচাঁদপুরে নৃশংসভাবে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা
মুক্তিপন না পেয়ে দুর্বৃত্তরা মিরাজ উদ্দীন (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গলাসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। সোমবার সকালে মিরাজের লাশ কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের একটি ভুট্রাক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বুজরুকগড়গড়ি দারুল উমুল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র মিরাজ উদ্দীন কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মহর আলীর ছেলে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহিন জানান, শনিবার (১৪ মার্চ ২০১৫) রাতে মিরাজ বাড়ির পাশে মদিনাতুল উমুল মাদ্রাসায় ধর্মসভা শুনে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে।
তিনি আরো জানান, অপহরণের পর দুর্বৃত্তরা তার বাবার কাছে মোবাইলে এক লাখ টাকার চাঁদা দাবী করে। এ বিষয়ে রোববার মিরাজের বাবা মহর আলী কোটচাঁদপুর থানায় একটি মামলা করে। সোমবার সকালে কৃষকরা ভুট্রাক্ষেতে মাদ্রাসা ছাত্র মিরাজের গলাসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সোমবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশের ধারণা অন্য কোন স্থান থেকে মিরাজকে গলাকেটে হত্যার পর ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের ভুট্রাক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে কোন রক্ত ছিল না।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানায় তার পিতার দায়ের করা অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরিত করা হবে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহিন জানান। এলাকাবাসির অভিযোগ কোটচাঁদপুরের ভোরমাডাঙ্গা গ্রামটি ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বর্ডার হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে একটি সন্ত্রাসী গোষ্টি সেখানে আস্তানা গড়ে তুলেছে। নিরাপদ আস্তানা পেয়ে তারা এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই, মুক্তিপণ ও হত্যাকান্ডে লিপ্ত হলেও মানুষ কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। এই চক্রটি মাদ্রাসা ছাত্র মিরাজকে হত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসির ধারণা।
মন্তব্য চালু নেই