নোয়াখালীর আনোয়ার লিবিয়ায় আইএস জঙ্গি দ্বারা অপহৃত গ্রামের বাড়ীতে উৎকন্ঠায় স্বজনরা

লিবিয়ায় ইসলামিক এস্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হাতে অপহৃত মো. আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েছপুরে স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে হাহাকার চলছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইএস জঙ্গি দ্বারা আনোয়ার হোসেনের অপহরনের খবরটি পাওয়ার পর থেকেই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীরা চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। লিবিয়ায় অপহৃত আনোয়ার হোসেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গয়েছপুর গ্রামের আমজাদ হাজী বাড়ীর মো. ইউনুছ মিয়ার ছেলে। তিনি গত সাত বছর ধরে লিবিয়া প্রবাসী। দেশে তার স্ত্রী মারুফা খাতুন, ছেলে রাহিম, মেয়ে রাইসা, মা-বাবা, তিন ভাই ও তিন বোন রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ীতে গেলে জানা যায়, তার স্ত্রী মারুফা খাতুনের কাছে লিবিয়া থেকে এনামুল নামের এক সহকর্মী মোবাইল ফোনের জানান অপহৃত আনোয়ার এখনো জীবিত আছেন। তবে কোথায় কিভাবে আছেন বিষয়টি তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ২০০৮ সালে লিবিয়া যান। মাঝে তিন বছর আগে একবার দেশে এসে ঘুরে গেছেন।

৪ মার্চ থেকে তার স্ত্রী মারুফা খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ তার কথা হয়। এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। লিবিয়া থেকে আনোয়ারের সহকর্মী এনামুল জানায় সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন আনোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে এনামুল নিশ্চিত করেছে অপহৃত আনোয়ার এখনো জীবিত আছে। এদিকে, দুপুরে লিবিয়া অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস আনোয়ারের পাসপোর্ট নাম্বার সহ আইএস জঙ্গিদের দ্বারা আনোয়ারের অপহরনের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করে।

Noakhali Pic-1 (11.03.15)

পরে খবরটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা আনোয়ারের গ্রামে বাড়িতে এসে পৌঁছলে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করে। প্রতি মূহৃর্তে তারা দুঃসংবাদের আতংকের মধ্যে রয়েছেন। কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর নবী জানান, অপহৃত আনোয়ারকে জীবিত উদ্ধারের জন্য তার পরিবারের লোকজন সরকারের পক্ষ থেকে যেন সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয় তার দাবি জানিয়েছেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (্ইউএনও) সৈয়দা নাহিদা হাবিবা জানান, লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ারের অপহরনের বিষয়টি আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের কোনো খবর এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।



মন্তব্য চালু নেই