সার্কাস-যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর উচ্ছেদে গিয়ে
দুই ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত, এমপির বিরুদ্ধে জিডি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যাত্রা সার্কাসের প্যান্ডেল উচ্ছেদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এ ঘটনায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে উপজেলার বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজে সার্কাস, যাত্রা ও জুয়ার আসর উচ্ছেদ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এহছানে এলাহী জানান, জনসাধারণের অভিযোগ পেয়ে বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ আহম্মেদসহ দুজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ বামনডাংগা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজে মাঠে যান। সেখানে সার্কাস, যাত্রা ও জুয়ার আসর উচ্ছেদ করার সময় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনসহ লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয় ও লাঞ্ছিত করে।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘটনার প্রতিবাদে রাতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ আহম্মেদ রাতেই গাইবান্ধা সদর থানায় সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন।
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে যাত্রা ও সার্কাসের আয়োজন করে গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন সমর্থক জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। শুরু থেকেই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বসানো হয়। এতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো কাজ না হওয়ায় জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে। তাতেও কাজ না হওয়ায় পরে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক এহছানে এলাহী যাত্রা ও সার্কাস উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য চালু নেই