অভিজিৎকে হত্যার কথা স্বীকার :

‘ফারাবীর কাছে অভিজিতের খুনের ছবি পাঠায় তার বন্ধু’

‘‘অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পরপরই ফারাবীকে তার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড খুনের রক্তাক্ত ছবি পাঠিয়ে বলেন, ‘ছবি পাইছেন কি?’ উত্তরে ফারাবী ছবি পেয়েছেন বলে জানান। এরপর তার ফেসবুক ফ্রেন্ড অনুভুতি জানতে চাইলে ফারাবী বলেন, ‘আমি গ্রেফতার হবো কাল-পরশুর মাঝে।’ এ থেকে বোঝা যায়, ব্লগার ফারাবী অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।’’

লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার শফিউর রহমান ফারাবীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান।

গণমাধ্যমের কাছে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ফারাবীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানাতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরে বাহিনীটি সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে।

এ সময় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে শফিউর রহমান ফারাবী জড়িত বলে দাবি করেন মুফতি মাহমুদ।

তিনি বলেন, ফারাবী অভিজিৎকে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। অভিজিতের বাবাও দাবি করেছে, দেড় বছর ধরে সে অভিজিৎকে হুমকি দিয়ে আসছে।

মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ‘ফারাবীর ফেসবুক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সে তার এক বন্ধুকে বলেছে অভিজিৎ রায় আমেরিকায় থাকে। এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।’

তিনি বলেন, ফারাবী এর আগেও শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানোয় ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এর আগে, স্ত্রীসহ বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত হন অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী ফরিদা আহদেম বন্যা। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মস্তিস্ক থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত ১০টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্তমানে তার স্ত্রী একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ফারাবীকে আটক করে। পরে তাকে এই হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ আগ থেকেই ফারাবী যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রামে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।



মন্তব্য চালু নেই